ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে রাশেদুল নামে বিএনসিসির নৌ শাখার এক সদস্যের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করেছে ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী।
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রোববার (২৯ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে অনুষদ ভবনের করিডোরে এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
আহত রাশেদুলকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সূত্র জানায়, ১৮ নভেম্বর অনার্স প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তুষার নামে এক ছাত্রলীগ কর্মী পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করতে চায়। এ সময় সেখানে দায়িত্বরত বিএনসিসি ক্যাডেট রাশেদুল তাকে বাধা দিলে তুষার ক্ষিপ্ত হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় সেখানে উপস্থিত কুষ্টিয়া জেলা সার্কেল এসপি মাহবুবুজ জামান বিষয়টি মীমাংসা করে দেন।
এ ঘটনার জের ধরে রোববার দুপুরে ছাত্রলীগ কর্মী তুষার ও তার সহযোগী আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের মাহমুদ জুবায়ের, আইন বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের রিয়ন, দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের সোহাগ, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের সাজ্জাদ হোসেন রাশেদুলকে বেধড়ক মারধর করে।
এ বিষয়ে রাশেদের এক বন্ধু বাংলানিউজকে বলেন, তার অবস্থা ভাল নয়। ডাক্তার বলেছে সিটি স্ক্যান না করা পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না।
মারধরের ঘটনায় বিএনসিসির নৌ প্লাটুনের দায়িত্বে থাকা বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ইয়াসমিন আরা সাথী বলেন, আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম এবং তাদের নিষেধ করলেও তারা আমার কথা শোনেনি। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে ইবি ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে যারা হামলা করেছে তাদের সঙ্গে ছাত্রলীগের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে তাতে ছাত্রলীগ সহযোগিতা করবে।
প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমান বাংলানিউজকে জানান, বিষয়টি তিনি জেনেছেন। তবে, সবার সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মীমাংসা হয়ে গেছে। পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৫
এমজেড