নারায়ণগঞ্জ: সোনারগাঁওয়ের শম্ভুপুরা ইউনিয়নের চর কিশোরগঞ্জ এলাকার চরহোগলা গ্রামে মেঘনা নদীর বালু মহাল নিয়ন্ত্রণ ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের সংঘর্ষে যুবলীগ কর্মী নিহতের ঘটনায় সোনারগাঁও থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নিহতের চাচাতো ভাই সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা নাসিরউদ্দিন মেম্বারকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।
নিহত জামাল হোসেনের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে মঙ্গলবার বিকেলে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় পর থেকে ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত উপজেলার শম্ভুপুরা ইউনিয়নের চরহোগলা ও চরকিশোরগঞ্জ এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার ও মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন নিয়ে ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নাসিরউদ্দিনের সাথে তার বোনের জামাতা ইমাম হোসেনের দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো। এ দ্বন্দ্বের জের ধরে গত সোমবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নাসিরউদ্দিনের নেতৃত্বে জানে আলম, মামুন, ওহাব, সোহেল, ফিরোজ, মুকুল, সুমন, আসাদ, হান্নানসহ ৩০-৩৫ জনের একটি দল চরহোগলা বালুরঘাট এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ইমাম হোসেনের লোকজনের উপর হামলা চালায়।
ইমাম হোসেনের লোকজন তাদের প্রতিহত করার চেষ্টার সময় নাসির মেম্বার গ্রুপের গুলিতে ইমাম হোসেন গ্রুপের জামাল হোসেন, সুমন, আলমগীর ও সাইফুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়। এতে জামাল হোসেন ঘটনাস্থলে মারা যান। নিহত জামাল উত্তর চর হোগলা গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে।
ঘটনার পর থেকে গুলিবিদ্ধ সুমন, আলমগীর ও সাইফুল ইসলাম নিখোঁজ ছিল। সোমবার (২১ ডিসেম্বর) রাতে তাদের সন্ধান পাওয়া যায়। বর্তমানে নিখোঁজ ৩ জনই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের বাংলানিউজকে জানান, যুবলীগ কর্মী নিহতের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ আসামিদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে। বর্তমানে চর হোগলা গ্রামের পরিস্থিতি শান্ত আছে। আশা করি খুব দ্রুত পুলিশ আসামিদের গ্রেফতার করতে পারবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৫
আরআই