ঢাকা: পৌর নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীরা বেশি সহানূভতি পাচ্ছে, আর আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের প্রতি নির্দয় আচরণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।
বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ২টার দিকে হানিফের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল ইসিতে প্রবেশ করে।
প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন, আবুদুস সোবহান গোলাপ, দীপু মনি, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক।
প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলা বৈঠক শেষ বেরিয়ে এসে মাহবুব উল আলম হানিফ সাংবাদিকদের বলেন, পৌর নির্বাচনের বিএনপির প্রার্থীরা বেশি সহানুভূতি পাচ্ছে, আর আমাদের (আ’লীগ প্রার্থী) প্রতি নির্দয় আচরণ করা হচ্ছে। যা নিরপেক্ষ নয়।
তাই ইসির প্রতি আহ্বান জানিয়ে হানিফ বলেন, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও নেতাদের বেশি সহানুভূতি দিতে গিয়ে যেন আমাদের প্রতি নির্দয় আচরণ না করা হয়।
তিনি বলেন, বিএনপির বড় নেতারা সংসদে না থাকায় প্রচার-প্রচারণার বেশি বেশি সুযোগ পাচ্ছে। আমরা এমপি হওয়ার কারণে প্রচারণায় যাচ্ছি না। তাই আমাদের দাবি হচ্ছে বিএনপির সমান সুযোগ আওয়ামী লীগও যেন পায়।
দশ পর্যবেক্ষক সংগঠকের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলে আওয়ামী লীগের ওই নেতা বলেন, অধিকার, ডেমোক্রেসি ওয়াচসহ ১০টি দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তারা প্রত্যেকে একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাই তারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে পারেন না।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন, বিএনপি একটি উদ্ভান্তের দল। আমাদের দু’জন কর্মী হত্যাকাণ্ডের শিকার হলেও প্রথমে দলটি তাদের কর্মী হিসেবেই দাবি করেছিল।
তিনি আরও বলেন, সত্যিকার বিষয় হচ্ছে বিএনপি লেবেল প্লাস প্লেয়িং ফিল্ডের সুবিধা পাচ্ছে। তাই ইসির কাছে আমাদের আবেদন, আমরা যেন নিরপেক্ষ আচরণ পাই। যেন আমাদের প্রতি নির্দয় না হন।
এসময় তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলেন আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল। এবিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের প্রার্থী ও প্রার্থীর সমর্থকরা সামান্য কারণেও শাস্তি পাচ্ছেন।
মন্ত্রী-এমপিদের বিষয়ে হানিফ বলেন, তারা যদি কোনো প্রার্থীর পক্ষে ভোট চায় তবে নির্বাচন কমিশনকে অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা নিতে বলেছি এবং সরকারি দল হিসেবে সহায়তা দেওয়ার কথা জানিয়েছি। তবে মসজিদে নামাজের পর যদি কোনো প্রার্থীর সঙ্গে কোলাকুলি করে এজন্য যেন ব্যবস্থা না নেওয়া হয়।
নির্বাচনের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, যখন যে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার সবই করার ক্ষমতা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের।
এনিয়ে পৌর নির্বাচন বিষয়ে দু’বার আওয়ামী লীগ ইসিতে এলো। এর আগে মন্ত্রী-এমপিদের নির্বাচনী প্রচারণার সুযোগের জন্য ইসির কাছে দাবি জানিয়েছিল দলটি।
৩০ ডিসেম্বর সারাদেশে ২৩৩টি পৌরসভায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। গত ৯ ও ২২ ডিসেম্বর রানীশংকৈল ও গফরগাঁও পৌরসভার নির্বাচন স্থগিত করে হাইকোর্ট। অবশ্য বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) ওই দুই পৌরসভায় ভোট নিতে কোনো বাধা নেই বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৫
ইইউডি/এসএইচ