বরিশাল: আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বরিশাল জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর জিলা স্কুল মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার একপর্যায়ে রাস্তায় থাকা বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে ছাত্রলীগের কর্মীরা।
সংঘর্ষে রুম্মন ও নাহিদসহ বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন। তাদের বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে, গোয়েন্দা (ডিবি) ও কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে ভাটারখাল বস্তি, ব্রাউন কম্পাউন্ড ও কেডিসি এলাকা থেকে ছাত্রলীগের ১৪ কর্মীকে অস্ত্রসহ আটক করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি জসিম অনুসারী ছাত্রলীগ নেতা প্রদীপ দাস ও রুবেল এবং জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজ্জাকের অনুসারী নিলয়ের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পূর্ব থেকেই দ্বন্দ্ব চলছে।
এ নিয়ে গত শুক্রবার উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এর জের ধরে শনিবার রাতে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়।
এ সময় বরিশাল সিভিল সার্জনের একটি গাড়ি, বেক্সিমকো ফার্মার একটি পিকআপ ভ্যান ও একটি মাহেন্দ্র ভাঙচুর করে তারা।
ঘটনার পরপরই বরিশাল ডিবি ও পুলিশ অভিযান চালিয়ে ছাত্রলীগ কর্মী মো. হাসান (১৮), ভাটিখানার মো. রেজওয়ান পারভেজ (১৫), সাদ্দাম আকন (২০), জর্ডন রোডের কামলরুল হাসান (১৫), কর্নকাঠির রাকিব (১৯), কাউয়ার চরের আবিদ ইসলাম (১৫), আলিফ খান (১৮), কাটপট্টির আল আমিন (১৮), ভাটরখাল কলোনীর সোলায়মান (১৮), আগরপুর রোডের আদিত অনীক (১৮), দক্ষিণ আলেকান্দার শুভ, কাউনিয়ার রোমান ও ডিসি ঘাটের সালমান রহমানসহ ১৪ জনকে আটক করে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র ও ডিবির সহকারী কমিশনার আবু সাঈদ বাংলানিউজকে জানান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান ছবির ছেলে নিলয়কে ভাটারখাল এলাকার রুবেল তার বাহিনী নিয়ে আটক করে। নিলয় কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে গেলে উত্তেজিত হয়ে রুবেল ও তার বাহিনী রাস্তায় থাকা গাড়িতে ভাঙচুর চালায়। পরে অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ ১৪ জনকে আটক করা হয়।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাখাওয়াত হোসেন জানান, এ ঘটনায় দ্রুত বিচার ও অস্ত্র আইনে পৃথক দুইটি মামলা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৫
এসআর