ঢাকা: রেলের ভাড়া ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবের প্রতিবাদে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে গণসংহতি আন্দোলন।
মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য আবুল হাসান রুবেলের সভাপতিত্বে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, কেন্দ্রীয় সদস্য ফিরোজ আহমেদ, বাচ্চু ভূঁইয়া, তাসলিমা আখ্তার, জুলহাসনাইন বাবু, ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি সৈকত মল্লিকসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
জোনায়েদ সাকি তার বক্তব্যে বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম তিন ভাগের এক ভাগে নেমে আসায় মানুষ যেখানে আশা করেছিল বিদ্যুতের দাম কমবে, পরিবহন ব্যয় কমবে, উৎপাদন বাড়বে, সেখানে জনগণ দেখতে পেলেন ঠিক উলটো চিত্র। সরকার তেলের দামে তিন গুণ মুনাফা করেই সন্তুষ্ট না, রেলের ভাড়া ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করে তারা কার্যত পকেটমারের ভূমিকা পালন করে মানুষের শেষ সম্বলটুকুও হাতিয়ে নিতে চায়।
তিনি আরও বলেন, রেলে মানুষ ও মালামাল পরিবহন সবচেয়ে সস্তা হলেও স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত এক কিলোমিটারও রেল লাইন বৃদ্ধি পায়নি, বরং ক্রমাগত তা কমছে। একের পর এক সরকার লুণ্ঠনের প্রক্রিয়ায় রেলওয়েকে বিপন্ন করেছে, বর্তমান সরকার রেলওয়েতে লুণ্ঠনের রাজত্ব কায়েম করেছে। মাত্র এক বছর আগে রেলের ভাড়া বিপুল হারে বৃদ্ধির পর আবারও এই বৃদ্ধির প্রস্তাব থেকে বোঝা যায়, বর্তমান সরকার তাদের লুটপাটের বেলায় কতটা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
সমাবেশে অন্যান্য নেতারা বলেন, জ্বালানি তেলের ব্যয় বাংলাদেশে না কমার কারণে বাংলাদেশি পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতার ক্ষমতা হারিয়েছে। একদিকে স্থানীয় বাজারেই চীনা ও ভারতীয় পণ্যের কাছে তাই বাংলাদেশি জুতা-কলম-বৈদ্যুত্যিক সরঞ্জামসহ নানান পণ্য মার খাচ্ছে, অন্যদিকে সস্তা জ্বালানির কল্যাণে যে রফতানি পণ্য বৃদ্ধি পেতে পারতো, তাও ঘটেনি। পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধির মাধ্যমে একদিকে মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে ফেলা হয়েছে, অন্যদিকে এর কারণেও উৎপাদন খরচ বহুগুণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৬
পিআর/এমজেএফ/