ঢাকা: রাজনৈতিক হয়রানির উদ্দেশে তারেক রহমানের শাশুড়ির বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার (০৭ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফখরুল বলেন, দেশের চাঞ্চল্যকর ও শীর্ষ দুর্নীতির ঘটনাগুলোকে বৈধতা দিয়ে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক হয়রানীর উদ্দেশে বিএনপির সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান তারেক রহমানের শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু কোনোরূপ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন বরং বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী হিসেবে পরিচিত এবং পারিবারিক দীর্ঘ ঐতিহ্য নিয়ে বিভিন্ন ধরণের সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডে নিজেকে জড়িত রেখেছেন। একজন অরাজনৈতিক সমাজসেবক ব্যক্তিত্ব ও সাবেক নৌবাহিনী প্রধানের স্ত্রীর বিরুদ্ধে এই রাজনৈতিক হয়রানীমুলক মামলা।
বিজ্ঞপ্তিতে মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান অবৈধ জুলুমবাজ সরকার পুলিশ, দুদক এবং আদালতকে ব্যবহার করে এতোদিন বিরোধী দলীয় রাজনীতিবিদদের হয়রানী, নিপীড়ন ও নির্যাতন করলেও এবার তারা বিরোধী রাজনীতিবিদদের পরিবারের অরাজনৈতিক সদস্য এবং আত্মীয়-স্বজনদের বিরুদ্ধেও একই ধরণের নির্যাতন ও হয়রানীমূলক আচরণ শুরু করেছে।
তিনি বলেন, সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু একজন সম্ভ্রান্ত পরিবারের সদস্য। আসামের প্রথম মুসলিম ব্যারিস্টার এবং নিখিল ভারত আইন পরিষদের সদস্য (এম এল এ) ও আসাম কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট আহমেদ আলী খান এর ছোট ছেলে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সাবেক প্রধান মরহুম মাহবুব আলী খানের স্ত্রী সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু ১৯৭৯ সালে সুবিধা বঞ্চিতদের জন্য মাত্র একজন শিক্ষার্থী নিয়ে শুরু করেছিলেন 'সুরভী' নামে স্কুল এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।
প্রচার বিমুখ এই মহীয়সী নারীর নিরলস পরিশ্রমের কারণে আজ পর্যন্ত ২০ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থীর জীবনে শিক্ষার আলো জ্বেলেছে সেই প্রতিষ্ঠান। সুরভী’র বর্তমান শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৬ হাজারেরও বেশি। ঢাকায় সুরভী’র স্কুলের সংখ্যা ১৫ টি, সারাদেশে সুরভী কেন্দ্রের সংখা ৮০টি। সুবিধা বঞ্চিতদের একজন সত্যিকারের মানুষে পরিণত করাই সুরভী’র লক্ষ্য।
এমন একজন শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া সম্পূর্ন রাজনৈতিক হরয়ানীমূলক বলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বর্ননা করেন।
তিনি বলেন, শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারী, হলমার্ক কেলেঙ্কারী, বিসমিল্লাহ গ্রুপ কেলেঙ্কারী, পদ্মা-সেতুতে এসএনসি লাভালিনের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়া আওয়ামী লীগের মন্ত্রীদের দুর্নীতি, রেলের চাকরি দেবার জন্য নেওয়া ঘুষের টাকার বস্তা কেলেঙ্কারী, ইয়াবা পাচারকারী আওয়ামী লীগ এমপির অর্থ কেলেঙ্কারী, ওষুধ ক্রয়ে দুর্নীতি করা আওয়ামী মন্ত্রীর কেলেঙ্কারী এবং দেশ থেকে বছরে ৭৬ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারকারী আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে দুদক কোন মামলা দায়ের করে না, বরং সেইসব দুর্নীতিকে বৈধতা দেয়।
অন্যদিকে বিরোধী দলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আয়ের হিসাব দাখিলের মত তুচ্ছ বিষয় নিয়ে মামলা দিয়ে হয়রানী করে। দুদক ইচ্ছা করলে তো আয়কর বিভাগ থেকেই যে কোনো ব্যক্তির আয় সম্পর্কে তথ্য নিতে পারে, মামলা করে হয়রানী করার তো কোনো যৌক্তিক কারণ নেই।
মির্জা ফখরুল অবিলম্বে সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে দায়ের করা দুদকের মিথ্যা হয়রানীমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৬
বিএস