ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

আ’লীগে পদ নিয়ে টেনশন

শামীম খান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৬
আ’লীগে পদ নিয়ে টেনশন

ঢাকা: এগিয়ে আসছে আওয়ামী লীগের সম্মেলন। আর মাত্র সাত সপ্তাহ পর আরেকবার সম্মেলনে বসতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন দল।

চলতি সরকারের মেয়াদে এটাই তাদের প্রথম সম্মেলন। সম্মেলনের সময় যতোই এগিয়ে আসছে, ততোই প্রকট হচ্ছে বড় বড় পদে পরিবর্তনের আভাস।

দলীয় সূত্রগুলো বলছে, আসন্ন সম্মেলনে অধিকাংশ পদে যে পরিবর্তন আসছে, তা অনেকটা নিশ্চিত। অনেক ডাকসাইটে নেতাও পদ খুইয়ে বসতে পারেন। এমনকি কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে ছিটকেও পড়তে পারেন কেউ কেউ। কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকেই তাই মহাটেনশনে জোর তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন।

আগামী ২৮ মার্চ আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি এখনও শুরু হয়নি। তারপরও কার্যনির্বাহী সংসদে ব্যাপক পরিবর্তনের হাওয়া বইতে শুরু করেছে।

দলের একাধিক সূত্রে জানা যায়, পরিবর্তনের যে ধাক্কা আসছে, তা লাগতে পারে কার্যনির্বাহী সদস্য পদ থেকে শুরু করে সম্পাদক ও সভাপতিমণ্ডলী পদেও। এসব পদে যারা দায়িত্বে রয়েছেন, তাদের বাদ দিয়ে নতুনদের দায়িত্ব দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। তবে বেশিরভাগ পরিবর্তন আসতে পারে সম্পাদকীয় পদগুলোতে। এ পদে থাকা নেতাদের কেউ কেউ বিগত মহাজোট সরকারের মন্ত্রিসভায় ছিলেন।

সূত্র জানায়, বিভিন্ন অভিযোগের কারণে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদের বাদ দিয়ে কার্যনির্বাহী সংসদে পরিবর্তন আনার চিন্তা-ভাবনা করছেন।

সূত্রের তথ্য, দলের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা, যথাযথভাবে ভূমিকা রাখতে না পারা, নিষ্ক্রিয় থাকা কিংবা বিগত সময় মন্ত্রিসভায় থেকে দুর্নীতি, অনিয়ম করেছেন বা বিতর্কিত হয়েছেন বা যাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ রয়েছে, তাদের দলের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। এদের কেউ কেউ কেন্দ্রীয় কমিটি থেকেও বাদ পড়তে পারেন। অবশ্য কেউ কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বাদ না পড়লেও গুরুত্বপূর্ণ পদ হারাবেন। সেক্ষেত্রে তাদের কার্যনির্বাহী সদস্য পদে রাখা হতে পারে।

তবে, ব্যর্থ এবং বিতর্কিতদের সরিয়ে নতুন নেতৃত্ব আনার ব্যাপারে যে আলোচনা চলছে, তাতে শঙ্কিতরা পদ ধরে রাখতে চালিয়ে যাচ্ছেন জোর তদবির। পদে বহাল রাখতে তারা শীর্ষ পর্যায়ে দৌঁড়ঝাপও করছেন নিয়মিত।

আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে প্রতি তিন বছর পরপর জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠানের বিধান রয়েছে। সর্বশেষ জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০১২ সালের ২৯ ডিসেম্বর। সে অনুযায়ী গত ডিসেম্বরে বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির মেয়াদ শেষ হয়। তাই ডিসেম্বরে সম্মেলনের সিদ্ধান্ত হলেও পৌরসভা নির্বাচন হওয়ায় তা বদল করতে হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৬/আপডেট ০২০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯
এসকে/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।