ঢাকা: অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক তার বক্তব্যে খালেদা জিয়াকে জড়িয়ে উচ্চ আদালতকে ‘প্রথম কলুষিত করেছেন’ বলে মন্তব্য করলেন বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
মঙ্গলবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
‘প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুখপাত্র হয়ে কথা বলছেন’- শামসুদ্দিন চৌধুরীর এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘আপনি কার মুখপাত্র ছিলেন, তা দেশবাসী জানে। ’
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের মাজার গেইটে দাড়িয়ে শামসুদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিরা রায় লিখতে পারবে না, এই কথা বহু আগে খালেদা জিয়া বলেছিলেন। উনি খালেদা জিয়ার মুখপাত্র হয়ে বিএনপির এজেন্ডা চরিতার্থ করার জন্য এটা বলেছেন। উনার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে। ’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি দফতরের মুখপাত্র রিজভী বলেন, ‘শামসুদ্দিন চৌধুরীই প্রথম উচ্চ আদালতকে কলুষিত করেছেন। নানা অপকর্ম এবং দেশের গুণীজনকে জোর করে তার বিচারিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে এই কাজগুলো করেছেন। ’
‘আজকে যখন প্রধান বিচারপতি সত্য কথা বলেছেন, আইনের শাসনের কথা বলছেন, ন্যায্য কথা বলছেন, সংবিধানের পক্ষে কথা বলছেন, তখন তাদের সহ্য হচ্ছে না। সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক ও মানিকের মতো যারা অপকর্ম করেছেন, তাদের কাজ জাতি জানে,’ বলেন তিনি।
বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘এই দেশে ব্রিটিশ আমল থেকে উচ্চতর আদালতের প্রতি এ ধরনের অশ্রদ্ধা ও বিতর্ক মন্তব্য হয়নি। যে বিতর্ক করেছেন শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক আর এবিএম খায়রুল হক। ’
‘সাবেক বিচারপতি মানিকের কথা শুনলে মনে হবে কোনো কসাই কথা বলছেন। যা একজন বোধ-বুদ্ধি ও বিচারসম্পন্ন মানুষের কথা নয়। সেজন্য বিভিন্ন জায়গায় তিনি মানুষের রোষানলেও পড়ছেন। ’
দিনদিন বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থায় ন্যায় বিচারের পরিসর সংকীর্ণ হয়ে আসছে বলেও অভিযোগ করেন রুহুল কবীর রিজভী।
তিনি বলেন, ‘সরকার সব প্রতিষ্ঠানকে নিজেদের চেতনায় গড়ে তোলার প্রচেষ্টায় লিপ্ত। এজন্য মাহমুদুর রহমানকে কারাগারে বন্দি থাকতে হচ্ছে। আওয়ামী লীগ ইতিহাস সৃষ্টিকারী একটি দল, তবে সেই ইতিহাসে সভ্যতার যুগ বলে কিছু নেই। অতীতে তারা বর্বর যুগ সৃষ্টি করেছিলো এখন তারা অধপতনের সৃষ্টি করছেন। ’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার, মির্জা আব্বাস, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শওকত মাহমুদ, আবদুল মান্নানসহ সব রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান দলটির মুখপাত্র।
এ সময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, আবদুস সালাম সালাম, আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করিম শাহীন, রফিক শিখদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৬
এমএম/এমএ