ঢাকা: দুই দুর্নীতি মামলার শুনানিতে বৃহস্পতিবারও (১০ ফেব্রুয়ারি) আদালতে হাজির হচ্ছেন না মামলা দু’টির প্রধান আসামি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলা দু’টির বিচারিক কার্যক্রম চলছে রাজধানীর বকশিবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের অস্থায়ী আদালতে।
খালেদার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া বুধবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) বাংলানিউজকে জানান, খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় বৃহস্পতিবার আদালতে যাচ্ছেন না।
বৃহস্পতিবার জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার ৩২তম ও শেষ সাক্ষী তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন অর রশিদকে আসামিপক্ষের জেরার দিন ধার্য রয়েছে। প্রথম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেওয়া একই সাক্ষীকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায়ও জেরা ও নতুন সাক্ষ্যগ্রহণেরও দিন ধার্য রয়েছে।
দীর্ঘ প্রায় আড়াই মাস লন্ডন সফর শেষে দেশে ফিরলেও গত বছরের ২৬ নভেম্বর থেকে আটটি ধার্য তারিখের মধ্যে সাতদিনই এ আদালতে হাজিরা দেননি খালেদা। তবে উচ্চ আদালতের নির্দেশে গত বছরের ০১ ডিসেম্বর নাইকো দুর্নীতি মামলায় নবম বিশেষ জজ আমিনুল ইসলামের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন তিনি।
খালেদার অনুপস্থিতিতেই দীর্ঘ প্রায় ছয়মাস ধরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা চলছে।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সব মিলিয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন ৩২ জন সাক্ষী, যাদের মধ্যে একজনকে আসামিপক্ষের জেরা বাকি রয়েছে। অন্যদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় এ পর্যন্ত সাক্ষ্য দিয়েছেন একজন, তাকে আসামিপক্ষের জেরা বাকি রয়েছে।
২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা দায়ের করা হয়। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়।
অন্যদিকে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশ্যে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়।
খালেদা জিয়া ছাড়াও তার বড় ছেলে ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অপর আট আসামি রয়েছেন এ দুই মামলায়।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৬
এমআই/এএসআর