ময়মনসিংহ: মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়ে চলছে ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা কৃষক দল। আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদনের তিন মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার কথা থাকলেও সোয়া তিন বছরেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।
সংগঠনের নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, ১০১ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটির আহ্বায়ক ছাড়া সবাই সদস্য। আর এই সুযোগে আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আজিজুল হক খানের স্বেচ্ছাচারিতা ও নানা অজুহাতে টাকা নেওয়ায় তার কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে দক্ষিণ জেলা কৃষক দল।
এ নিয়ে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে নেতা-কর্মীদের মাঝে।
নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করেন, দলীয় কর্মসূচি পালনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে নেতা-কর্মীদের কাছ থেকে দক্ষিণ জেলা কৃষক দলের আহবায়ক টাকা নিলেও আসলে কোনো কর্মসূচি পালন করা হয় না।
এমনকি ভালুকা ও গফরগাঁওসহ বিভিন্ন ইউনিট কমিটি গঠনে দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও স্বজনপ্রীতির বিস্তর অভিযোগও রয়েছে আহ্বায়কের বিরুদ্ধে।
নেতা-কর্মীরা বলেন, ২০১২ সালের ৫ নভেম্বর এ কমিটি গঠিত হলেও এখন পর্যন্ত কোনো সাধারণ সভা বা বর্ধিত সভা করতে পারেননি আহবায়ক। ফলে আহবায়কের একক সিদ্ধান্তে জিম্মি এ সংগঠনটি।
এ বিষয়ে জেলা কৃষক দলের সদস্য গোলাম মুর্শেদ শাহীন বাংলানিউজকে জানান, আহ্বায়ক আজিজুল হক খান গত সোয়া তিন বছরেও কমিটি প্রকাশ করেননি। ফলে কেউ জানেন না কার কী পদ ? এ সুযোগে তিনি বিভিন্ন জনকে জেলার সদস্য উল্লেখ করে দলীয় প্যাডে চিঠি দিয়ে টাকা নিয়েছেন। অথচ কমিটিতে ওই লোকের কোনো নাম নেই।
সূত্র মতে, জেলা কৃষক দলের মোট ১৩টি ইউনিট কমিটির মধ্যে বিগত দেড় বছর আগে সম্মেলন ছাড়াই নয়টি ইউনিট কমিটির অনুমোদন করা হয়েছে। বাদ বাকি ইউনিট কমিটিগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ শহর কৃষক দলের সভাপতি ইকবালুর রহমান ইকবাল জানান, আহ্বায়ক ঘরে বসে নিজের পছন্দের লোকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কয়েকটি ইউনিট কমিটি অনুমোদন করেছেন। কিন্তু দীর্ঘ সময়েও জেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে পারেননি। তিনি পুরোপুরি ব্যর্থ।
তৃণমূল নেতা-কর্মীদের দাবি, ঝিমিয়ে পড়া কৃষক দলের রাজনীতিতে গতি আনতে নতুন কমিটি গঠন করতে হবে। আহবায়কের প্রতি অনাস্থা প্রস্তাবেরও প্রস্তুতি চলছে সংগঠনটির ভেতরে ভেতরে।
এসব বিষয়ে যোগাযোগ করলে অভিযোগ অস্বীকার করেন অ্যাডভোকেট আজিজুল হক খান। তিনি দাবি করেন, ইতোমধ্যে বেশিরভাগ ইউনিট কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমি কারও কাছ থেকে কোনো টাকা নিই না। নিজের টাকায় সংগঠন চালাই।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৬
এইচএ/