ঢাকা: ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের এবারের জাতীয় সম্মেলনের প্রধান আকর্ষণ হচ্ছেন সজিব ওয়াজেদ জয়। এ সম্মেলনে সজিব ওয়াজেদ জয় সরাসরি উপস্থিত থাকবেন বলে আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানিয়েছে।
এই মুহূর্তে সরাসরি রাজনীতিতে যুক্ত না হলেও ইতোমধ্যেই আওয়ামী লীগে পরোক্ষ প্রভাব রয়েছে সজিব ওয়াজেদ জয়ের। দলের তরুণ প্রজন্মের নেতাকর্মীর কাছে দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন তিনি। এছাড়াও দলকে নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও রয়েছে তার। এমনটিই জানিয়েছে সূত্রগুলো।
তথ্য প্রযুক্তিকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে যেসব কর্মসূচি সরকার নিয়েছে তার পেছনে রয়েছে জয়ের বড় ভূমিকা। আর এই কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে দেশের তরুণ ও যুব সমাজের একটি বিরাট অংশের কাছে ডিজিটাল বাংলাদেশের মডেল হয়ে উঠেছেন তিনি।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতি ও আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয় পেশায় একজন কম্পিউটার বিজ্ঞানি। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা হিসেবেও কাজ করছেন। এই পদে যুক্ত হওয়ার আগে থেকেই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রধান সহযোগী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়ে নির্বাচনী ইশতেহার ‘দিনবদলের সনদ’ প্রকাশ করে আওয়ামী লীগ। এই ইশতেহার তৈরির নেপথ্যে বড় ভূমিকা ছিলো জয়ের।
আগামীতে আওয়ামী লীগকে আরও আধুনিক ও যুগোপযোগী রাজনৈতিক দল হিসেবে গড়ে তুলতে তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষ তরুণ নেতৃত্ব আনার চিন্তা-ভাবনা করছেন তিনি। দলকেও তথ্য-প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ করে তুলতে ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছেন।
এইদিকে এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে এক ঝাক তরুণ মেধাবী নেতৃত্বকে দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে আনার কথা শোনা যাচ্ছে। এর পেছনে জয়ের একটি বড় ভূমিকা থাকবে বলে আওয়ামী লীগের ওই সূত্রগুলো জানিয়েছে।
সূত্রগুলো আরও জানায়, ২৮ মার্চ আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন আনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনের প্রস্তুতির কাজ এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু না হলেও ভেতরে ভেতরে বিভিন্ন বিষয়ের প্রস্তুতি চলছে। বিশেষ করে নতুন কমিটিতে কারা কারা স্থান পাবেন বা কাদের আনা হবে, কিভাবে দলকে আরও যুগোপযোগী করে গড়ে তোলা যায়, এ বিষয়গুলো নিয়ে ইতোমধ্যেই চিন্তা-ভাবনা শুরু হয়েছে। আর এই চিন্তা-ভাবনার সঙ্গে সজিব ওয়াজেদ জয় সম্পৃক্ত রয়েছেন।
এদিকে সরাসরি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সজিব ওয়াজেদ জয় এখন পর্যন্ত যুক্ত না হলেও দলের রাজনীতিতে ধীরে ধীরে তার প্রভাব স্পষ্ট হয়ে উঠছে। দলের নেতাকর্মীরা তাকে ইতোমধ্যেই আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব হিসেবে ভাবতে শুরু করেছেন।
তরুণ প্রজন্মকে আওয়ামী লীগের দিকে আরও বেশি আকৃষ্ট করতে তিনি বিগত সময়ে বেশ কিছু জনসংযোগ কর্মসূচি চালিয়েছেন। আগামীতে এ ধরনের আরও কর্মসূচিতে তিনি অংশ নেবেন বলে সূত্রগুলো জানায়। সঙ্গগত কারণেই আওয়ামী লীগের এবারের জাতীয় সম্মেলনে জয় হচ্ছেন প্রধান আর্কষণ।
এদিকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা মনে করছেন জয়ের উপস্থিতিতে সম্মেলন প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের এক নেতা বাংলানিউজকে বলেন, নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনে জয়ের একটা ভূমিকা তো থাকবেই। তিনি হয়তো এখনই প্রকাশ্যে আসবেন না, কিন্তু মাকে (সভাপতি শেখ হাসিনা) পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করবেন।
এই সম্মেলনে জয় দলের রাজনীতিতে দৃশ্যমান না হলেও এর পরবর্তী কাউন্সিলে দলের রাজনীতিতে তার দৃশ্যমান উপস্থিতি প্রত্যাশা করাই যেতে পারে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৬
এসকে/আরএইচএস