খুলনা: খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মনোনয়নকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দু’ গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় ওসি ও দুই পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ২৫ নেতা-কর্মী আহত হয়।
আহতদের মধ্যে বটিয়াঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন অর রশিদ, কনস্টেবল সাইদুর রহমান ও জসিম উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা হাদীউজ্জামান হাদী, এসএম ফরিদ রানা, তুলশী দাস বিশ্বাস, নজরুল মেম্বর, শহীদ শেখ, খলিলুর রহমান, মিন্টু, মামুন, রবীন উল্লেখযোগ্য।
মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের পর দফায় দফায় বটিয়াঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় দলীয় কার্যালয় এবং বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা জানান, বটিয়াঘাটা উপজেলার কোন ওয়ার্ড এবং ইউনিয়নে দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি নেই। কিন্তু দলের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এসএম মোস্তফা রশিদী সুজা এমপির সমর্থিত গ্রুপ এ উপজেলায় রাতারাতি কমিটি করে নিজেদের পছন্দের লোকদের প্রার্থী করার চেষ্টা চালায়। এ নিয়ে মঙ্গলবার উপজেলা কার্যালয়ে তৃণমূলের সভার আয়োজন করা হয়। সভা চলাকালে দলের জেলা সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ সমর্থিত গ্রুপের পক্ষে ৩নং গংগারামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও শেখ হারুণের ভাইপো হাদীউজ্জামান হাদী এবং ৪নং সুরখালি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম ফরিদ রানার নেতৃত্বে প্রতিবাদ করা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সুজা গ্রুপের পক্ষে উপজেলা সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান খান আশরাফুল আলম, ভান্ডারকোর্ট ইউনিয়ন আ’লীগের নেতা উবায়দুল্লাহ ও মিজানসহ অন্যরা তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় কমপক্ষে ২৫ নেতা-কর্মী আহত হয়। এ সময় দলীয় কার্যালয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিও ভাংচুর করা হয়।
বটিয়াঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন অর রশিদ জানিয়েছেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে মতবিরোধের কারণে দু’ পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ভাঙচুর হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তবে এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল পর্যায়ের কেউ কথা বলতে রাজি হননি।
এদিকে এ ঘটনার পর ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫১ ঘণ্টা,ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৬
এমআরএম/আরআই