পাথরঘাটা (বরগুনা): আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে (নৌকা প্রতীক) চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বাছাইয়ে কারচুপির অভিযোগ তুলে পাথরঘাটা পৌর শহরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে উপজেলা ছাত্রলীগের একাংশ। এছাড়া একই অভিযোগ তুলে বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে পাথরঘাটা মহাবিদ্যালয়ে এ ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
প্রতক্ষদর্শীরা জানান, চরদুয়ানী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী বাছাইয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও চরদুয়ানী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান জুয়েল এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাফিজউদ্দিন আহম্মেদ ফিরোজ সমান সংখ্যক ভোট পান। এসময় দু’টি ভোট বাতিল হয়। ওই দু’টি বাতিল ভোটের একটি ফিরোজকে দিয়ে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এর প্রতিবাদে জুয়েলের সমর্থকরা ভোটকেন্দ্র পাথরঘাটা মহাবিদ্যালয়ের দু’টি দরজা ভাঙচুর করেন। পরে দফায় দফায় পাথরঘাটা পৌর শহরের শেখ রাসেল স্কয়ারে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করেন তারা।
বিক্ষোভ শেষে পাথরঘাটা প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সভা করা হয়। প্রতিবাদ সভায় জুয়েল বলেন, দু’জন প্রার্থীর ভোট সমান হয়েছে। তবুও বাতিল ভোট গণনা করে হাফিজউদ্দিন আহম্মেদ ফিরোজকে বিজয়ী করা হয়েছে। এতে নেতাকর্মীরা হতাশ। তাই এ ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার শহরে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, হাফিজউদ্দিন আহম্মেদ ফিরোজ তিন বার নির্বাচনে অংশ নিয়ে তিন বারই পরাজিত হয়েছেন।
ভোট কারচুপির অভিযোগ অস্বীকার করে হাফিজউদ্দিন আহম্মেদ ফিরোজ বলেন, আমি ৪১টি ভোট পেয়েছি, আর জুয়েল পেয়েছেন ৩৯টি ভোট। এখন দল কাকে মনোনয়ন দেবে?
পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. বেলায়েত হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য তৃণমূল নেতাকর্মীদের গোপন ভোটের মাধ্যমে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। এর বিরোধিতা করে যারা হরতালের ডাক দিয়েছে, তারা সন্ত্রাসী ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী। সাংগঠনিকভাবে হরতাল প্রতিহত করবে আওয়ামী লীগ।
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জিয়াউল হক জানান, পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৬
এসআই