বরগুনা: বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আব্দুল আজিজ শরিফকে মারধর ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী কাউসার ইকবালের সমর্থকদের পথে আটকে রেখে মনোনয়নপত্র ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে।
দুই প্রার্থীর অভিযোগ, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বরগুনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানের সমর্থকরা তাদের মনোনয়নপত্র ছিনিয়ে নিয়েছেন।
সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) মনোনয়ন পত্র জমাদানের শেষ দিনে বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নে পৃথক পৃথক সময় এসব ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ তাদের।
তবে, বরগুনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, আমি বা আমার কোনো কর্মী-সমর্থক এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়।
বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আব্দুল আজিজ শরিফ অভিযোগ করে বাংলানিউজকে বলেন, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি হেঁটে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাচ্ছিলেন। এ সময় পশ্চিম বরগুনা এলাকায় বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্যের বাড়ির সামনে ১০/১২ জন যুবক তাকে আটক করে। একপর্যায়ে তিনি রাস্তায় পড়ে যান।
এ সময় ওই যুবকরা তার হাতে থাকা মনোনয়নপত্র নিতে চাইলে তিনি বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে যুবকরা তাকে কিল-ঘুষি মারেন। এ সময় তার ভাতিজা সোহেল ও বেয়াই সালাম শরিফ তাকে রক্ষা করার জন্য এগিয়ে এলে তাদের মারধর করে ওই যুবকরা। পরে তারা মনোনয়নপত্র নেয়।
পরে, স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে বলে জানান আব্দুল আজিজ।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাউসার ইকবাল মাহবুব অভিযোগ করে বাংলানিউজকে বলেন, বিকেল পৌনে ৫টার দিকে তিনি দুইজন সমর্থককে মনোনয়নপত্র জমা দিতে ইউএনও কার্যালয়ে পাঠান। ইউএনও কার্যালয়ের মূল ফটকে তাদের আটকে মনোনয়নপত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী সিদ্দিকুর রহমানের কয়েকজন সমর্থক।
বুড়িরচর ইউনিয়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আলফাজ উদ্দীন শেখ বাংলানিউজকে বলেন, আমার কার্যালয় বা আশপাশে এমন ঘটনা ঘটেনি। বাইরে ঘটে থাকলে সে ঘটনার দায়-দায়িত্ব তো আমাদের নয়। আমাদের কাছে যারা এসেছে আমরা তাদের মনোনয়নপত্র জমা নিয়েছি।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৬
এমজেড