ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ ভাদ্র ১৪৩১, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৮ সফর ১৪৪৬

রাজনীতি

গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ডের জন্য সোচ্চার হতে হবে

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৬
 গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ডের জন্য সোচ্চার হতে হবে

ঢাকা: জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের ফলে বাংলাদেশসহ ক্ষতিগ্রস্ত রাষ্ট্রগুলোর জন্য যে ক্লাইমেট ফান্ড আছে, তা যেন বিশ্ব বেনিয়াদের হাতে না যায়, সে জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, সুশীল সমাজ এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্তাদের সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি সাবেক পরিবেশমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি।

শনিবার (২০ আগস্ট) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘আসন্ন জলবায়ু সম্মেলন ও সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে জলবায়ুর পরিবর্তন ও এর প্রভাব’ শীর্ষক এক গোলটেবিল সেমিনারে তিনি এ আহ্বান জানান।

ইক্যুইটি বিডি, কোস্ট বাংলাদেশ, অক্সফাম, অ্যাকশ্যন এইডসহ কয়েকটি দেশি ও আন্তর্জাতিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সেমিনারটি আয়োজন করে।

হাছান মাহমুদ বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর জন্য গঠিত গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ডে যে টাকা জমা পড়েছে, তার প্রায় ৯০ শতাংশ ইতিমধ্যে আইএমএফ, বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনের হাতে চলে গেছে। যা দাতা রাষ্ট্রগুলোর অন্য দেশকে নিয়ন্ত্রণের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। এমনকি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ব্যাংকের হাতেও এ অর্থ চলে গেছে। যা অত্যন্ত হতাশাব্যঞ্জক। তাই আমি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর প্রতি অনুরোধ করবো- জাতিসংঘের আসন্ন জলবায়ু সম্মেলনে যেন ক্লাইমেট ফান্ডের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করতে জোরালোভাবে আলোচনা করা হয়।

তিনি বলেন, এসব যে কেবল আমাদের দেশের জন্য প্রয়োজনীয় বিষয় তা নয়, পুরো অঞ্চলের জন্যই প্রয়োজনীয়। আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার প্রত্যেক দেশের কোন একটি সমস্যার প্রভাব অবশ্যই পরবে, আর পরিবেশগত সমস্যা হলে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আমি মনে করি এবারের সার্ক সম্মেলনে পানি ব্যবস্থাপনা, পানির সুষম বণ্টন এবং পানি দূষণের বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত।

তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আন্তর্জাতিক নদী অবস্থিত। ফলে পানি দূষণ কিংবা পানি বণ্টনের ব্যাপারগুলো কোন দেশের এককভাবে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট হতে পারে না। মেকং নদী নিয়ে ছয়টি রাষ্ট্রের সমন্বয়ে যদি একটি কাউন্সিল করা যেতে পারে তাহলে আমরা কেন পারবো না। এছাড়া সম্মেলনে সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে জল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন ও একদেশ থেকে অন্যদেশে বিদ্যুৎ আমদানি-রফতানি, সার্কের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফুডব্যাংক এবং সিডব্যাংক স্থাপনের বিষয়টিও সার্কের আলোচ্য সূচিতে রাখা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।

আসন্ন জলবায়ু সম্মেলনে জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলোকে সহযোগিতা করারও আহ্বান জানান হাছান মাহমুদ।

অর্থনীতিবিদ পল্লী-কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. খলিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন ড. আতিক রহমান, ড. আহসান উদ্দিন, ড. আব্দুল মতিন, রেজাউল করিম, ভারতের সঞ্জয় ভাস্টি, শর্মীন নীলাভ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৬
টিআই

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।