ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ ভাদ্র ১৪৩১, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৮ সফর ১৪৪৬

রাজনীতি

সিটিতে স্বতন্ত্রদের প্রার্থিতা শিথিল আইন অনুমোদনের অপেক্ষায়  

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০১৬
সিটিতে স্বতন্ত্রদের প্রার্থিতা শিথিল আইন অনুমোদনের অপেক্ষায়     

ঢাকা: সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বিধিমালা সংশোধন করে স্বতন্ত্র থেকে প্রার্থিতার শর্ত শিথিলের অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে মেয়র পদে প্রার্থী হতে কেবল ৩শ’ ভোটারের সমর্থনের প্রমাণ দিতে হবে।

 

এখন শর্তটির ওপর আইন মন্ত্রণালয় অনাপত্তি দিলেই তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে। ইসির সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার (০১ সেপ্টেম্বর) প্রস্তাবিত বিধিমালাটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

২০১৫ সালে সরকার সিটি নির্বাচনের আইন সংশোধন করে দলীয়ভাবে ভোটগ্রহণের বিধান আনে। সে আলোকে নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা ও আচরণ বিধিমালাও সংশোধন করছে নির্বাচন কমিশন।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ক্ষেত্রে ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থন আছে এমন প্রমাণ দিতে হয় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের।

ইসি কর্মকর্তারা বাংলানিউজকে জানান, যেহেতু সিটিতে সংসদীয় আসনের চেয়ে ভোটার সংখ্যা বেশি, তাই ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থন দেখানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে। একই সঙ্গে তা যাচাই করাও সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। তাই সংখ্যা নির্দিষ্ট করে ইসি সচিবালয়ের প্রস্তাবে ৩শ’ ভোটারের বিধান রেখে বিধিমালা সংশোধনের অনুমোদন দিয়েছে কমিশন।
ইসি সচিব সিরাজুল ইসলাম বৃহস্পতিবার জানান, কমিশনের অনুমোদন পাওয়ায় এখন বিধিমালাটি আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছে। তারা কোনো আপত্তি না জানালে শিগগিরই তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।

পৌরসভায় মেয়র পদে স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচনে অংশ নিলে ১০০ ভোটারের সমর্থন দেখাতে হয়। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচনের জন্য ভোটারের সমর্থন দেখানোর শর্ত রাখা হয়নি।

এদিকে সিটি নির্বাচনের আচরণবিধিতেও সংশোধন আনা হচ্ছে। এক্ষেত্রে মন্ত্রী ও তাদের সমপদমর্যাদা সম্পন্ন ব্যক্তি, সংসদ সদস্য, সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না-এমন বিধান রাখা হচ্ছে।

আগামী ডিসেম্বরে নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে ইসি। যে কারণে সংশোধিত আইনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা ও আচরণ বিধিমালা সংশোধন করতে হচ্ছে সংস্থাটিকে।

২০১৫ সালের নভেম্বরে সিটি করপোরেশন, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনগুলো দলীয়ভাবে সম্পন্ন করতে আইন সংশোধন করে সরকার। এরপর বিধিমালা সংশোধন করে একই বছর ডিসেম্বরে নবম পৌরসভা এবং গত ফেব্রুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত নবম ইউপি নির্বাচন সম্পন্ন করে ইসি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৬
ইইউডি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।