রাজশাহী: রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ নেতা জিয়াউল হক টুকু হত্যা মামলার তদন্তে এবার মাঠে নেমেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
নিহতের পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২০ সেপ্টেম্বর চাঞ্চল্যকর এ মামলাটি সিআইডিতে দেওয়ার নির্দেশ দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
দায়িত্ব পাওয়ার পর দিন ২৬ সেপ্টেম্বর ঘটনাস্থল পরিদর্শনও করে সিআইডি দল। পরিদর্শন শেষে প্রধান আসামিকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন মামলা তদন্তের দায়িত্ব পাওয়া রাজশাহীর সিআইডি পরিদর্শক মাহবুব আলম।
রাজশাহীর সিআইডি পরিদর্শক মাহবুব আলম বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে করা আবেদনে নিহত আওয়ামী লীগ নেতা জিয়াউল হক টুকুর পরিবারের সদস্যরা তাকে হত্যা করা হতে পারে এমন দু'টি কারণ উল্লেখ করেছেন। এর একটি হচ্ছে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব ও অন্যটি রাজনৈতিক। আপাতত এ দু'টি কারণ ধরেই এগোতে হবে। তদন্তের সময় অন্য পথগুলো খুলে যাবে বলে জানান এই সিআইডি কর্মকর্তা।
এর আগে গত ২৪ এপ্রিল রাজশাহী নগর ভবনের সামনে ব্যক্তিগত চেম্বারে নিজের পিস্তলে গুলিবিদ্ধ হন টুকু। ওই সময় তার চেম্বারে চার ব্যক্তি অবস্থান করছিলেন। তারাই টুকুকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরদিন টুকুর স্ত্রী নুরুন নাহার লতা ওই চারজনকেই আসামি করে বোয়ালিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন- রাজধানী ঢাকার সবুজবাগ থানা এলাকার এমএ নয়ন, রাজশাহী মহানগরীর বোসপাড়া এলাকার অধিবাসী তরিকুল ইসলাম ওরফে তরিক, মহানগরীর মহিষবাথান এলাকার রবিউল ইসলাম এবং সুলতানাবাদ এলাকার ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন।
টুকু মারা যাওয়ার পর রবিউল ও জসিমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে তারা এখন জামিনে রয়েছেন। অন্যদিকে গত ৪ মে প্রধান আসামি এমএ নয়ন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। তিনি এখন জেলহাজতে। তবে পলাতক রয়েছেন দুই নম্বর আসামি তরিকুল ইসলাম তরিক।
নিহত জিয়াউল হক টুকু জেলা আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক ও রাজশাহী চেম্বারের সাবেক প্রশাসক ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৬
এসএস/বিএস