রোববার (৭ মে) ভোর চারটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মারা যায়।
স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ১০ম শ্রেণির ছাত্র সাকিব একই ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের আলতাফ হোসেন হাওলাদারের ছেলে।
পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুমুর রহমান বিশ্বাস বাংলানিউজকে জানান, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের বিরোধের জের ধরেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
হাসপাতাল, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে কামরুল হাসান সিয়াম ও সাজ্জাদুর রহমান আশিক নামে দুই বন্ধুর সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে একপাই জুজখোলা গ্রাম থেকে বাড়ি ফিরছিল সাকিব। রাত সাড়ে নয়টার দিকে ইজাড়া নামক স্থানে চার-পাঁচজন তাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় তারা সাকিবকে কুপিয়ে এবং তার বন্ধুদের পিটিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে পিরোজপুর সদর হাসপাতাল ভর্তি করে। অবস্থা খারাপ হওয়ায় রাতে সাকিবকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে রোববার ভোর চারটার দিকে সে মারা যায়।
কদমতলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হানিফ খান বাংলানিউজকে জানান, ছাত্রলীগের নতুন কমিটি হওয়ার কথা রয়েছে। কমিটি গঠন নিয়ে বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৫ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১৭
এসআই