শুক্রবার (২৬ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলুর নিঃর্শত মুক্তি দাবিতে প্রতিবাদ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে বরকত উল্লাহ বুলু মুক্তি পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহম্মেদ বলন, ভাস্কর্য সরানোর আগে প্রধান বিচারপতি বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সিনিয়র আইনজীবীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন। সেখানে সবার পরামর্শ নিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্ট নিয়ে কোনো বির্তক হোক প্রধান বিচারপতিসহ অন্য আইনজীবীরা তা চান না। তাই, বিচারপতি আইনজীবীদের পরামর্শে মৃনাল হকের ভাস্কর্য সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সরকারের নির্দেশে নয়।
আওয়ামী লীগের উদ্দেশে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ একটি উগ্রবাদী, প্রতিহিংসা পরায়ন, অসহিষ্ণু দল। দেশে গণতন্ত্র ফেরাতে হলে এই দলের বিরুদ্ধে আন্দোলনের বিকল্প নেই। এখন আমাদের একটাই চ্যালেঞ্জ, দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা। সব দলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে খালেদা জিয়ার অধীনে আন্দোলন করে যেতে হবে।
বিএনপি ক্ষমতায় এলে ষোড়শ ও পঞ্চদশ সংশোধনী পরিবর্তন করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এ সরকার সব কিছু নিয়ন্ত্রণে নিতে চায়। বিচার বিভাগ ছাড়া প্রশাসন, র্যাব, পুলিশ, ইসি সব তাদের নিয়ন্ত্রণে। এখন বিচার বিভাগ নিয়ন্ত্রণে নিতে ষোড়শ সংশোধনী এনেছে। ফলে বর্তমান অবৈধ সংসদ বিচার বিভাগ নিয়ন্ত্রণ করবে। আমরা ক্ষমতায় গেলে পঞ্চদশ ও ষোড়শ সংশোধনী পরিবর্তন করবো।
বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ম্ভব নয় জানিয়ে মওদুদ বলেন, ইসি সরকারের তাবেদারি প্রতিষ্ঠান। একদলীয় নির্বাচন করার জন্য সরকারকে সহায়তা করবে। কিন্তু আমরা আর কোনো একদলীয় নির্বাচন হতে দিব না। এর জন্য ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে যেতে হবে।
আয়োজক সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা আকবর হোসেন ভূইঁয়ার সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র, ভাইস চেয়ারম্যান খাইরুল আলম খোকন, বরকত উল্লাহ বুলু মুক্তি পরিষদের সভাপতি মাসুদ রানা প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪১ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৭
এমসি/এসএইচ