শনিবার (১০ জুন) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) আয়োজিত এক ছায়া সংসদে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এ তথ্য জানান।
রাজ্জাক বলেন, সব দলের অংশগ্রহণে যাতে একটি অবাধ সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয় এজন্যই বিএনপিকে আনা হবে।
সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্যে বলেছেন আগামী নির্বাচন ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মতো হবে না। সব দলকে নিয়ে সবার অংশগ্রহণে নির্বাচন হবে। '
তিনি বলেন, 'আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি আগামী নির্বাচনে সব দল বিশেষ করে বিএনপিকে আনার জন্য সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে। '
আব্দুর রাজ্জাক আরো বলেন, নির্বাচনের আর মাত্র দুই বছর সময় আছে। জানিনা নির্বাচন কমিশনের ইভিএমে ভোট নেওয়ার সক্ষমতা আছে কিনা। ইসি যদি পারে তবে ইভিএমে ভোট হবে। তবে আমরা বলছিনা যে, আগামী নির্বাচন ইভিএমে করতে হবে। আমরা চাই প্রযুক্তি নির্ভর নির্বাচন। কেননা, সবাই এখন নির্বাচনে প্রযুক্তির ব্যবহারের দিকে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, সংবিধানে এক লাইনে স্পষ্ট করে বলা আছে, নির্বাচনের সময় সকল ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের। বিএনপি বলছে সহায়ক সরকারের কথা, যদিও সেটার রূপরেখা তারা এখনো দেয়নি। এক্ষেত্রে সহায়ক সরকার কেন, যদি বর্তমান সরকারও নির্বাচনকালীন সময়ে ক্ষমতায় থাকে, তা কেবল রুটিন দায়িত্ব পালন করবে। সকল সরকারি-বেসরকারি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ইসি যেভাবে চাইবে, সেভাবেই সহায়তা করতে হবে। কাজেই একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নির্ভর করবে ইসির ওপর।
তিনি আরো বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য একটি নিরপেক্ষ এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন দরকার। বর্তমান নির্বাচন কমিশনে বিএনপির মনোনিত একজন নির্বাচন কমিশনারও রয়েছেন। কাজেই বর্তমান ইসি সবার কাছে গ্রহণযোগ্যও হয়েছে।
নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিশ্চিতে ইভিএমের ব্যবহার নিয়ে 'ইউসিবি পাবলিক পার্লামেন্ট' শিরোনামে ছায়া সংসদের আয়োজন করে ডিভেট ফর ডেমোক্রেসি। এতে সরকারি দলের ভূমিকা নেয় ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক। আর বিরোধী দলের ভূমিকা নেয় প্রাইম ইউনিভার্সিটি। আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী স্পিকারের ভূমিকা পালন করেন। এতে বিতর্কের পর হা না ভোটে বিরোধী দল জয়যুক্ত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১৭
ইইউডি/বিএস