ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনীকে যুক্ত করা সঠিক হবে না

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০১৭
নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনীকে যুক্ত করা সঠিক হবে না নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনীকে যুক্ত করা সঠিক হবে না

ঢাকা: নির্বাচন একটি রাজনৈতিক প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনীকে যুক্ত করা সঠিক হবে না। এটা নিয়ে বিতর্ক সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্যও সহায়ক নয়।

বৃহস্পতিবার (০২ নভেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সেমিনার কক্ষে ‘নির্বাচন কমিশনে আওয়ামী লীগের ১১ দফা প্রস্তাবনা জনগণেরই প্রস্তাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

এতে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম।


 
আলোচনা সভায় অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনী সীমানা পুনর্নির্ধারণ করতে গেলে নির্বাচন বিলম্বিত, ভণ্ডুল হবে। অনেক আসনে নির্বাচন করা যাবে না। সেনাবাহিনীর মধ্য থেকেই বিএনপির জন্ম। তাই তারা সেনাবাহিনীকে নির্বাচনে মোতায়েন চায়।

মেজর জেনারেল (অব.) একে মোহাম্মদ আলী সিকদার বলেন, জাতীয় নির্বাচন এলেই অপতৎপরতা শুরু হয়। আর এই অপতৎপরতার সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায় পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা। ৯১ সালের নির্বাচনে আইএসআই’কে বিএনপি টাকা দিয়েছিলো, সেকথা পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হোসেন আকতারির বইয়ে উল্লেখ রয়েছে। নির্বাচন একটি রাজনৈতিক প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে সেনাবাহিনীকে যুক্ত করা সঠিক হবে না।  

অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মনতাজউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিএনপির দাবি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন। কিন্তু এটা কিভাবে হবে, সংবিধানে কি বলা আছে। নির্বাচনে সেনাবাহিনীর হাতে যদি বিচারিক ক্ষমতা দেওয়ার কথা বলা হয় সেটা কিভাবে সম্ভব। সেনাবাহিনী তো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে না। সেনাবাহিনী প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে।  

বাংলাদেশ ফেডারল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, সংলাপে বিএনপির কতগুলো প্রস্তাব ছিলো নির্বাচন কমিশনের আওতার বাইরে। তারা আগে থেকে এ প্রস্তাব দিয়ে পরবর্তিতে সমস্যা তৈরি করতে চায়। বিএনপি মনে করে আওয়ামী লীগ পরাজিত হলে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। তারা এই সরল সমীকরণ মেলাতে চায়।  

মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশিদ বলেন, নির্বাচনে সামরিকবাহিনী মোতায়েন করা হবে কি হবে না এটি নিয়ে আগে থেকে বিতর্ক তৈরি করা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সহায়ক হবে না। নির্বাচন কমিশন প্রয়োজন মনে করলে সেনা মোতায়েন করবে। আগে থেকেই এই দাবি তুলে, এটা নিয়ে বিতর্কের মাধ্যমে ভীতি তৈরি করা ঠিক হবে না।
   
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির চেয়ারম্যান এইচ টি ইমামের সভাপতিত্বে সূচনা বক্তব্য রাখেন প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির সদস্য সচিব ড. হাছান মাহমুদ।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দেশের সেনাবাহিনীর আর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কেউ কেউ এক করে ফেলছেন, এটা ঠিক না। সেনাবাহিনী প্রতিরক্ষার কাজ করে আর পুলিশসহ অন্যান্য বাহিনী আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করে। সেনাবাহিনীকে দিয়ে পুলিশের কাজ করানো হবে তাদের জন্য অসম্মানজনক।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৭ 
এসকে/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।