সমাবেশের অন্যতম শর্ত ছিল মিছিলসহ সমাবেশস্থলে আসা যাবে না। কিন্তু দুপুরে সমাবেশ শুরুর পর থেকেই হোটেল শেরাটন মোড় এবং মৎস্যভবন এলাকা থেকে মিছিল নিয়েই সমাবেশের দিকে যেতে দেখা গেছে বিএনপি নেতাকর্মীদের।
এছাড়াও উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হলেও বিভিন্ন দিক থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানমুখি প্রায় সব মিছিল থেকেই দিতে দেখা গেছে উস্কানিমূলক স্লোগান। বিশেষ করে সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগানে স্লোগানে স্লোগানে মুখর থেকেছে এসব মিছিল।
২৩ দফা শর্তে উল্লেখ ছিল, সমাবেশস্থলের বাইরে গণজমায়েত করে যানচলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অনেক দূর থেকেই মিছিল ও জমায়েতের কারণে চারপাশের রাস্তাগুলো স্থবির হয়ে পড়ে অসহনীয় যানজটে। তবে এটাকে ইচ্ছাকৃত প্রতিবন্ধকতা বলার সুযোগ নেই। কেননা হাজারে হাজে মানুষের গন্তব্য একটি বিশেষ দিকে হলে রাস্তার ওপর তার বিরূপ প্রভাব পড়াটাই স্বাভাবিক। সেটাই ঘটেছে আশপাশের সড়কগুলোতে।
অনেক গাড়িচালককে তাই গাড়ি ঘুরিয়ে অন্য দিকে যাবার মরিয়া চেষ্টা করতে দেখা গেছে। এমন দৃশ্য চোখে পড়েছে রাজধানীর কারওয়ানবাজারের আশপাশের রাস্তায়। সবাই অন্য দিকে যাওয়ার চেষ্টা করতে থাকায় পুরো এলাকাজুড়ে যানজট নারকীয় রূপ নেয়। এই এলাকায় মানুষের ভোগান্তির সীমা পরিসীমা ছিল না কোনো। দীর্ঘক্ষণ যানজটে আটকে থেকেছেন সব বয়সের মানুষ। রাস্তার অসহনীয় যানজট পেরিয়ে গন্তব্যে পৌঁছতে ঘন্টার পর ঘণ্টা লেগে গেছে অনেকের।
বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে ডাক্তার দেখাতে আসা নূর আহমেদ বলেন, রোববার সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে এমনিতেই জনগণের ভোগান্তির শেষ থাকে না, তার মধ্যে এই সমাবেশ আমাদের মত সাধারণ মানুষের জন্য দুর্ভোগ ছাড়া কিছুই না।
সমাবেশের আরেক শর্ত ছিল সমাবেশস্থলের বাইরে রাস্তায় বা ফুটপাতে জনসমাগম করা যাবে না। কিন্তু ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন থেকে শুরু করে শাহবাগ হয়ে হোটেল শেরাটন পর্যন্ত পুরো সড়কের রাস্তায় বিএনপি কর্মীদের যত্রতত্র অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল সমাবেশস্থলের প্রবেশপথে আর্চওয়ে রাখা হবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ১ নং প্রবেশপথে কোনো ধরনের তল্লাশি ছাড়াই বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের মিছিলসহ প্রবেশ করতে দেখা গেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনির লোকেরা তল্লাশির প্রায় কিছুই করেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৭
পিএম/জেএম