রোববার (১২ নভেম্বর) বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারের সমালোচনা করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘শুধু বিদেশে পাঠিয়েই নয়, বাইরে লোক পাঠিয়ে তাকে পদত্যাগও করানো হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বলেন, অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন করা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। নির্বাচন নিয়ে ইসি কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দিতে পারে না। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন, ইভিএম বন্ধ , সেনাবাহিনীকে নামিয়ে নির্বাচন দিতে হবে।
‘এমনকি সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা দিতে হবে যাতে তারা কাজ করতে পারে। আর সেনাবাহিনী না দেওয়া হলে ক্ষমতাসীন দল কেন্দ্র দখল করে মানুষের ওপর অত্যাচার চালাবে। ভোট চুরি করবে। ’
বিকেল সোয়া ৪টায় বক্তব্য শুরু করেন খালেদা জিয়া। এর আগে সোয়া ৩টার পর জনসভাস্থলে পৌঁছালে বিভিন্ন স্লোগান স্লোগানে তাকে শুভেচ্ছা জানান নেতা-কর্মীরা। খালেদা জিয়াও হাত উঁচিয়ে তাদের শুভেচ্ছার জবাব দিয়ে মঞ্চের দিকে এগিয়ে যান।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, আবদুল্লাহ আল নোমানসহ শীর্ষ নেতারা মঞ্চে উপস্থিত রয়েছেন।
৭ নভেম্বর বিএনপির ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ থাকলেও ঢাকায় কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের (সিপিএ) সম্মেলন হওয়ায় পিছিয়ে রোববার এ জনসভা করছে বিএনপি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৭
আরএম/এমআইএইচ/এমসি/এএম/জেডএম
** এক বছরের বেশি বেকার থাকলে ভাতা: খালেদা