তফসিল ঘোষণার পরপরই নির্বাচনকে ঘিরে সরব হয়ে উঠছে প্রার্থী, রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটাররা। আগ্রহী প্রার্থীরা অনেকেই সামাজিক গণমাধ্যমের মাধ্যমে নিজেদের প্রচারণা শুরু করছেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রির্টানিং অফিসার মো. আবুল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী বনপাড়া পৌরসভায় মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ ২৭ নভেম্বর। প্রার্থীতা যাচাই-বাছাই ২৮ ও ২৯ নভেম্বর এবং মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৬ ডিসেম্বর। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে জেলা নির্বাচন অফিসের পক্ষ থেকে সব প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২৮ ডিসেম্বর বনপাড়াসহ দেশের ৪টি পৌরসভা ও ৩৪টি ইউনিয়ন পরিষদে সাধারণ এবং ৩টি পৌরসভা ও ৯১টি ইউনিয়ন পরিষদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
স্থানীয়রা জানান, ২০০২ সালের ৩১ ডিসেম্বর ৬.৯২ বর্গকিলোমিটার অধিক্ষেত্র নিয়ে বনপাড়া পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৩ সালে এই পৌরসভাটি প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হিসেবে উন্নীত হয়। এটি হবে এই পৌরসভার তৃতীয় নির্বাচন। ২০১১ সালের ১২ জুন সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
২০১৬ সালের জুন মাসে ৫ বছর মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্ত থেকেই বনপাড়া পৌরসভার নির্বাচনকে ঘিরে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। কিন্তু পৌর এলাকার সীমানার সঙ্গে স্থানীয় মাঝগাঁও এবং জোয়াড়ি ইউনিয়নের সীমানা নিয়ে জটিলতা থাকায় নির্বাচন কমিশন এই পৌরসভাসহ ওই দুইটি ইউনিয়নের নির্বাচন স্থগিত রাখেন।
ফলে যথাসময়ে বনপাড়া পৌরসভা ও এই দুই ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। সম্প্রতি সীমানা সংক্রান্ত জটিলতার অবসান হলে পৌরবাসীর বহুল আকাঙ্খিত বনপাড়া পৌরসভার নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ওই দুই ইউনিয়ন পরিষদের তফসিল ঘোষণা করা হয়নি।
বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রির্টানিং অফিসার মো. ইছাহাক আলী বাংলানিউজকে জানান, বনপাড়া পৌরসভায় ৯টি ওয়ার্ড ছিল। কিন্তু এবারে আরও তিনটি ওয়ার্ড ১০, ১১, ১২ নং বৃদ্ধি করা হয়েছে। এতে ওই দুইটি ইউনিয়ন থেকে এবার ৪ হাজার ৪৪৯ জন ভোটার ও সংশ্লিষ্ট সীমানা পৌরসভার মধ্যে এসেছে।
বর্তমানে এই পৌরসভার আয়তন বৃদ্ধি পেয়ে ১১.১৬ বর্গকিলোমিটার হয়েছে। পৌরসভায় মোট ভোটার হয়েছে ২১ হাজার ২৫৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১০ হাজার ৫১০ জন এবং নারী ভোটার ১০ হাজার ৭৪৪ জন। নতুন এলাকাসহ ভোটার তালিকা গেজেটভুক্ত না হওয়ায় এ পৌরসভায় নির্বাচন যথাসময়ে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীদের পদচারণা শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে সম্ভাব্য চারজন মেয়র প্রার্থীর নাম প্রাথমিকভাবে শোনা যাচ্ছে।
তারা হলেন, বর্তমান মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি কেএম জাকির হোসেন, স্থানীয়ভাবে প্রতিষ্ঠা করা জয়বাংলা সামাজিক আন্দোলন গঠনের সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. জাকির হোসেন সরকার, পৌর বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক এম লুৎফর রহমান, জেলা বিএনপির সদস্য সন্ত্রাসী হামলায় নিহত সাবেক পৌর মেয়র ও উপজেলা চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ নুর বাবুর স্ত্রী মহুয়া নুর কচি।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৭ ঘণ্টা, ১৪ নভেম্বর, ২০১৭
আরএ