মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে ১৫৪টি আসনে কোনো প্রর্থী ছিলো না।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, দেশে এখন আর কোনো গণতন্ত্র নেই। দেশের মানুষের নিরাপত্তা বলে কিছু আর নেই। হত্যা, গুম, খুন, দ্রব্যমূল্যের আকাশ ছোঁয়া দাম---এসব নিয়ে মানুষের জীবন দুর্বিষহ। জনগণ আর আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না, বরং তারা আওয়ামী লীগের কবল থেকে মুক্তি চায়। তারা আওয়ামী লীগের প্রতি ক্ষুব্ধ। আওয়ামী লীগের সময় শেষ। জনগণ প্রস্তুত হয়ে আছে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ক্ষমতায় দেখতে।
‘খালেদা জিয়া বাংলাদেশের সব থেকে জনপ্রিয় নেত্রী’—এমন দাবি করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া যতবার ৫টা আসনে নির্বাচন করেছেন প্রতিবার ৫ টাতেই জিতেছেন কিন্তু শেখ হাসিনা সবগুলো আসনে কখনোই জিততে পারেননি। খালেদা জিয়া যখন চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফিরলেন, যখন রোহিঙ্গাদের দেখতে কক্সবাজার গেলেন। তখন তার জনপ্রিয়তা কতো বেশি তা সবাই দেখেছেন।
৭ নভেম্বর উপলক্ষে আয়োজিত এই আলোচনাসভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দল।
আলোচনাসভায় কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক এবং বিএনপি'র ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, বিএনপি'র যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের সহ-সভাপতি সৈয়দ মেহেদি আহমেদ রুমি, এম এ তাহের ও ঢাকা মহানগর কৃষকদলের আহ্বায়ক নাসির হায়দার প্রমূখ।
মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল তার বক্তব্যে বলেন, ৭ নভেম্বরকে ম্লান করার জন্য ইউনেস্কোর উদযাপন শুরু হয়েছে। শেখ মুজিবুর রহমান একজন জাতীয় নেতা, আমরা তো সেটা মানি। আমরা তাকে সম্মান করি কিন্তু উনি যে একজন ব্যর্থ রাষ্ট্র পরিচালক ছিলেন একথা আওয়ামী লীগকে মানতে হবে। তা না হলে শেখ মুজিবুর রহমান সারাজীবন আওয়ামী লীগের সম্পদই থাকবেন, জাতীয় সম্পদ হবেন না। তারা বুঝতে পারছেন না যে, একটা জাতি শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতীয় মর্যাদা দিতে চায়। তার নিজের মেয়ে শেখ হাসিনাও মনে হয় সেটা চান না। তিনি হয়তো চান না শেখ মুজিবুর রহমানের জনপ্রিয়তা তার জনপ্রিয়তার চেয়ে বেশি হোক।
বাংলাদেশ সময়:১৩৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৭
এসআইজে/জেএম