বাংলা সাহিত্যের দিকপাল ও কালজয়ী উপন্যাস বিষাদ-সিন্ধুর রচয়িতা মীর মশাররফ হোসেনের ১৭০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার পদমদী গ্রামে তার সমাধি প্রাঙ্গণে অবস্থিত মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতিকেন্দ্রে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় হিন্দু বাড়িতে হামলার ব্যাপারে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের আমরা দু’হাত বাড়িয়ে আশ্রয় দিচ্ছি।
বাংলা একাডেমি আয়োজিত এ আলোচনা সভায় মন্ত্রী বলেন, মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতিকেন্দ্রকে দেশের অন্যতম প্রধান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে। মীর মশাররফ হোসেনের জীবন-কর্ম ও বাংলা সাহিত্যে তার যে অবস্থান তা ব্যাখ্যা করে শেষ করা যাবে না। আমরা সমস্ত বাংলা ভাষাভাষী মানুষ তাকে নিয়ে গর্ব করি। কারণ বাংলাদেশে এমন একটা সময় ছিলো, যখন এমন কোনো বাড়ি খুঁজে পাওয়া যেতো না যে বাড়িতে বিষাদ-সিন্ধু গ্রন্থটি ছিলো না।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ড. শামসুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির সচিব (অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ মো. জিল্লুল হাকিম, রাজবাড়ীর ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ড. একেএম আজাদুর রহমান, রাজবাড়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বার ও বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদ।
প্রবন্ধকার হিসেবে-নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহম্মদ আবদুল জলিল এবং আলোচক হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. এ এম মাসুদুজ্জামান।
মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতিকেন্দ্রে মধ্যাহ্ন ভোজের পর বিকেল ৩টার দিকে বালিয়াকান্দি স্টেডিয়াম থেকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকা যান মন্ত্রী।
বিকেলে জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব চলছে। রাজবাড়ী সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ফকীর আবদুর রশিদের সভাপতিত্ব করছেন। সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৭
এসআই