ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

খালেদার যাবজ্জীবন সাজার প্রত্যাশা দুদকের

মবিনুল ইসলাম, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৮
খালেদার যাবজ্জীবন সাজার প্রত্যাশা দুদকের

ঢাকা: গত দশ বছর নিষ্ঠার সঙ্গে মামলা পরিচালনা করেছি। দু’শ’ ৬১ কার্যদিবসে ৩২ জন সাক্ষী আদালতে উপস্থাপন করেছি। মামলাটি বর্তমানে চূড়ান্ত পরিণতির দিকে যাচ্ছে। আমি মনে করি দুদক মামলাটি প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। আমরা খালেদা জিয়াসহ সব আসামির যাবজ্জীবন সাজা প্রত্যাশা করছি।

বুধবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপে এ প্রত্যাশার কথা বলেন মামলাটির প্রধান প্রসিকিউটর দুর্নীতি দমন কমিশনের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল।

বৃহস্পতিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) মামলাটির রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য রয়েছে।

কাজল বলেন, গত দশ বছর নিষ্ঠার সঙ্গে মামলা পরিচালনা করেছি। দু’শ’ ৬১ কার্যদিবসে ৩২ জন সাক্ষী আদালতে উপস্থাপন করেছি। আসামিপক্ষ মামলার বিভিন্ন বিষয় চ্যালেঞ্জ করে ২৫ বার উচ্চ আদালতে গিয়েছিলো। কিন্তু তারা সফল হয়নি। তারা চার্জশিট আমলে নেওয়ার বিরুদ্ধে গিয়েছে। চার্জগঠনের বিরুদ্ধে গিয়েছে। পুনঃতদন্তের জন্য গিয়েছে। এভাবে ২৫ বার গিয়েও তারা সফল হয়নি। মামলাটি বর্তমানে চূড়ান্ত পরিণতির দিকে যাচ্ছে। আমি মনে করি দুদক মামলাটি প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। আমরা খালেদা জিয়াসহ মামলার সব আসামির যাবজ্জীবন সাজা প্রত্যাশা করছি।

খালেদা জিয়াসহ সব আসামির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারা এবং খালেদা জিয়া ও সালিমুল হক কামালের বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় চার্জ গঠন করা হয়েছে। দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারায় সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় সর্বোচ্চ সাজা ৭ বছর উল্লেখ আছে।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, খালেদা জিয়া কিংবা মামলার কোনো আসামিই দুর্নীতি করেন নি। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের কোনো টাকাই আত্মসাৎ হয়নি। ট্রাস্টের টাকা সুদে আসলে বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। ন্যায়বিচার হলে তিনি খালাস পাবেন।

খালেদা জিয়ার অপর আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুর রেজ্জাক খান মামলার শুনানিতে খালেদা জিয়াসহ অন্য আসামির বিরুদ্ধে মামলা প্রমাণিত হয়নি দাবি করে সব আসামির খালাস দাবি করেছিলেন।

গত ২৫ জানুয়ারি ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে রায়ের জন্য ৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।

এর আগে ২৬১ কার্যদিবসে ৩২ জন সাক্ষির সাক্ষ্যগ্রহণ, ২৮ কার্যদিবস আত্মপক্ষ সমর্থন ও ১৬ কার্যদিবস যুক্তিতর্ক শুনানি গ্রহণ করা হয়।

কাজল জানান, ২৬১ কার্যদিবসের মধ্যে ১৫২ কার্যদিবস মামলার কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। বাকি দিনগুলো উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তের কারণে মামলার কার্যক্রম পরিচালিত হয়নি।

খালেদা জিয়া ৪৩ দিন আদালতে হাজির ছিলেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন, খালেদা জিয়ার বড় ছেলে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান (পলাতক), মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল (আটক), ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ (আটক), প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী (পলাতক) ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান (পলাতক)।

অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া জানান, ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) আইন ও আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তিনি আদালতে উপস্থিত থাকবেন। বেলা ১১টা নাগাদ আদালতে পৌঁছাবেন।

বাংলাদেশ সময়: ০০২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৮
এমআই/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।