এরই মধ্যে খালেদা জিয়ার হাজিরা আদালতে জমা দিয়েছেন তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া।
বৃহস্পতিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা ৫৫মিনিটে সানাউল্লাহ আদালতে খালেদা জিয়ার হাজিরা জমা দেন।
এদিকে খালেদা জিয়ার আইনজীবী সুপ্রিমকোর্ট বারের সাবেক সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন, বর্তমান সভাপতি জয়নুল আবেদীন, মীর নাসির উদ্দীন, ব্যারিস্টার নিতাই চন্দ্র রায়, সানাউল্লাহ মিয়া, আজিজুর রহমান খান বাচ্চু, আমিনুল ইসলাম, জয়নুল আবেদীন মেজবাহ আদালতে উপস্থিত হয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষে আদালতে উপস্থিত হয়েছেন, অ্যাডভোকেট খন্দকার আব্দুল মান্নান, মীর আব্দুস সালাম প্রমুখ।
খালেদা জিয়ার জন্য এজলাসের ভেতর প্রতিদিনের মতো আজও চেয়ার প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। এখানে বসেই তিনি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন ও যুক্তিতর্ক শুনেছেন।
এদিন জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা করবেন ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান। সকাল ১০টা ২০মিনিটের দিকে তিনি আদালতের উপস্থিত হয়েছেন।
গত ২৫ জানুয়ারি রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।
এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন ৩২ জন। ১২০ কার্যদিবসের বিচারকার্য শেষ হয়েছে ২৩৬ দিনে। আত্মপক্ষ সমর্থনে গেছে ২৮ দিন। যুক্তি উপস্থাপন চলেছে ১৬ দিন। আর আসামি পক্ষ মামলাটির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে উচ্চ আদালতে গিয়েছেন ৩৫ বার।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় একটি মামলা করে দুদক। ২০১০ সালের ৫ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ।
২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়। খালেদা জিয়া ছাড়া মামলার বাকি আসামিরা হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৮
এমআই/এসএইচ