বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে সড়কের মোড়ে মোড়ে অবস্থান করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। জোরদার করা হয়েছে তল্লাশি।
সকাল থেকে বরিশাল নগরের সদর রোডে অবস্থিত বিএনপি কার্যালয়টি তালাবদ্ধই রয়েছে। বিপরীতে প্রধানমন্ত্রীর বরিশাল আগমন ও জনসভাকে ঘিরে শহর জুড়ে বাড়ছে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি।
বিএনপির দাবি, বরিশালে বিএনপির কোনো কর্মসূচি না থাকলেও নেতাকর্মীদের বাসায় তল্লাশি করে হয়রানি করা হচ্ছে। তাই গ্রেফতার আতঙ্কে বিএনপি নেতারা আগে থেকেই আত্মগোপনে চলে গেছে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার এসএম রুহুল আমীন জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থলসহ পুরো বরিশাল জুড়েই বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু উদ্যানসহ আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছে। এছাড়া এসব এলাকায় শতাধিক উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার মাধ্যমে সবার গতিবিধি নজরদারি করা হচ্ছে।
এদিকে, বরিশালের বিভিন্ন উপজেলার আওতাধীন মহাসড়কগুলোতে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। যেখানে সন্দেহভাজনদের তল্লাশি করার পাশাপাশি বহনকারী মালপত্রের ওপরও নজর রাখছে পুলিশ ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বরিশাল মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) জিয়া উদ্দিন সিকদার বলেন, মামলাটিই ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। তাই আমরা মনে করি রায় আমাদের পক্ষেই থাকবে। আর বিপরীতে গেলে কেন্দ্রের ঘোষণা অনুযায়ী কর্মসূচি পালন করবো।
বিএনপির বরিশাল দক্ষিণ জেলা শাখার সভাপতি এবায়েদুল হক চান বলেন, আমাদের নেত্রী আগেই বলে দিয়েছেন, আদালতের রায় যাই হোক না কেন, আইন অনুযায়ী লড়াই করবো। নেতাকর্মীদের কোনো উশৃঙ্খলতা প্রকাশ করতে নিষেধ করেছেন তিনি। তবে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে যে কোনো কিছু করতে প্রস্তুত রয়েছে নেতাকর্মীরা। খালেদা জিয়াকে কারাদণ্ড দিলে আমরা কোনো ‘গন্ডগোল’ না করে স্বেচ্ছায় কারাবরণও করতে পারি।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট বিলকিছ আক্তার জাহান শিরিন বলেন, বুধবার রাত ৯টার দিকে ও রাত সাড়ে ১১টার দিকে আমার বরিশাল নগরের গোড়া চাঁদ দাস রোডের বাসায় তল্লাশি করেছে পুলিশ। পুলিশ আমাকে না পেয়ে আমার ভাইকে হুমকি দিয়েছে, বৃহস্পতিবার কোনো ঝামেলা হলে আমাকে এবং আমার ভাইকে ধরে নিয়ে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৮
এমএস/এসআই