বুধবার (২৯ আগস্ট) দলটির প্রধান সমন্বয়কারী জননেতা জোনায়েদ সাকির নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূইয়া, শ্যামলী শীল, মনিরউদ্দিন পাপ্পু, আবু বকর রিপন, জুলহাসনাইন বাবু, আরিফুল ইসলাম এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য দীপক রায় প্রমুখ।
শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
তিনি বলেন, গণসংহতি আন্দোলন জনগণের নিজস্ব শক্তি গড়ে তোলার ডাক দিয়ে ২০০২ সালে যে যাত্রা শুরু করেছিল তার প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষায় একটি গণতান্ত্রিক, আত্মমর্যাদাসম্পন্ন সার্বভৌম ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তোলা।
অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বলেন, বিগত ৪৮ বছর ধরে শাসকগোষ্ঠী দেশকে কেবল মুক্তিযুদ্ধে জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা ছিলো তার বিপরীতেই পরিচালিত করেনি, উপরন্তু স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে স্থায়ী করে তুলেছে। এই সাংবিধানিক ও ব্যবস্থাগত স্বৈরতন্ত্র বর্তমান সরকারের আমলে চরম রূপ লাভ করেছে। দেশে এখন চলছে চরম স্বৈরাচারী দুঃশাসন, চলছে উন্নয়নের নামে লুণ্ঠন এবং নৈরাজ্য।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই অনেকগুলি আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। এই পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বিদ্যমান বিভাজনের রাজনীতি ও ভঙ্গুর রাজনৈতিক ব্যবস্থা দেশকে আরো বিপদে ফেলে দেবে। আগামী জাতীয় নির্বাচন যদি অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক না হয় তাহলে দেশে অস্থিতিশীলতার সম্ভাবনা বাড়বে। দেশে আরেকটি জবরদস্তির নির্বাচন দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে পরিপূর্ণভাবে ধংস করবে। কাজেই আগামী নির্বাচনকে অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক করতে নির্বাচনকালীন সরকারের কাঠামো ও ভূমিকা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে ঐক্যমত্য তৈরি অত্যন্ত আবশ্যক। আর এর উদ্যোগ সরকারকেই নিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৮
এমজেএফ/