সোমবার (১৯ নভেম্বর) দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎ গ্রহণের এক পর্যায়ে বেরিয়ে এসে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের চাওয়ার ওপরে কিছু নির্ভর করে না।
‘রোবাবর রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় দিন সোমবার বরিশাল ও খুলনা বিভাগের প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে বরিশালের ১৮৩ জন প্রার্থী সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ‘
তিনি বলেন, সরকার বিরোধীদলের কোনো দাবি গ্রহণ করেনি। নিরপেক্ষ সরকার গঠন করেনি। সংসদ ভাঙেনি। প্রধানমন্ত্রী যে কথা দিয়েছিলেন তফসিল ঘোষণার পর নতুন করে মামলা গ্রেফতার করা হবে না, তা অব্যাহত রয়েছে। রোববার আমাদের সাক্ষাৎকারে অংশ নিতে যশোরের ভাইস প্রেসিডেন্ট আইউব হোটেলে ছিলেন তাকে তুলে নেওয়া হয়েছে। তাকে পাওয়া যাচ্ছে না।
সম্ভাব্য ভালো প্রার্থীদের মামলা দিয়ে জামিনের শুনানি বিলম্বিত করা হচ্ছে জানিয়ে বলেন, নির্বাচনের পরে তারিখ দেওয়া হচ্ছে। এটা নতুন কৌশল, নিম্ন আদালতকে ব্যবহার করে চরমভাবে প্রভাব বিস্তার করছে।
‘আমরা এ বিষয়গুলো নির্বাচন কমিশনের গোচরে নিয়ে এসেছি। সরকারের গোচরেতো আগেই এনেছি, কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো রকমের লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরির কোনো আগ্রহ সরকারের তরফ থেকে দেখা যায়নি। উপরন্তু তারা নেগেটিভ অবস্থার সৃষ্টি করছেন। এই নেগেটিভ অবস্থায় নির্বাচন কখনও অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে বলে আমরা মনে করি না। ’
প্রার্থীতা নিয়ে কোনো কোন্দলের আশঙ্কা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, প্রার্থীরা সবাই ঐক্যবদ্ধ, যিনি নমিনেশন পাবেন তার পক্ষে সবাই কাজ করবেন। কারণ এই নির্বাচনটাকে আমরা চূড়ান্ত আন্দোলনের পথ হিসেবে বেছে নিয়েছি। নির্বাচনের ওপর নির্ভর করছে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ।
প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে মানদণ্ড কি হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যার যার দলের প্রতি বেশি আনুগত্য থাকবে, গণতন্ত্রের প্রতি আনুগত্য বেশি থাকবে। যারা বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়, সেই সব প্রার্থীরাই প্রাধান্য পাবে। বেশিভাগ প্রার্থী এ বিষয়ে একমত যে তারা ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে অংশ নেবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৮
এমএইচ/এএ