সোমবার (১০ ডিসেম্বর) বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ পরিষদের আয়োজনে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘রাজনীতি ও মানবাধিকার’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধের দাবি জানিয়ে ড. কামাল বলেন, রোগের কারণ চিহ্নিত করার পরে তো চিকিৎসা।
ড. কামাল বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আপনারা তো ইনশাআল্লাহ হেরে যাচ্ছেন। এরপর জনগণ আপনাদের কিভাবে দেখবে সেই কথাটাও একটু ভাবুন। আপনাদের নেতা-কর্মীদের জনগণকে মোবারকবাদ দেওয়ার সুযোগ করে দিন। কাজ দেখিয়ে, তথ্য দিয়ে মানুষের উদ্বিগ্নতা দূর করুন। এটা তো আপনাদের জন্য অনেক সহজ কাজ। প্রায় প্রতিটি সেক্টরেই সব ধরনের তথ্য আছে। মন্ত্রণালয়কে বললেই তারা সেটি প্রকাশের ব্যবস্থা করতে পারে, যা অন্য কারোর জন্য অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার।
এ সময় জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে গণফোরাম সভাপতি ও ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা বলেন, ভোটাধিকার না দেওয়ার শতভাগ ব্যর্থতা জনগণের নিজের। ক্ষমতার মালিক জনগণ, এটাতো কাগজ দেখিয়ে বলার কিছু নেই। নীরব-নিষ্ক্রিয় হলে চলবে না। দেশের মালিক ১৮ কোটি মানুষ। এর অর্ধেকও যদি একত্র হয়ে মালিকানা নিজেরা ভোগ করতে চাই, তবে কেউ তা রুখতে পারবে না।
ঐক্যফ্রন্টের প্রধান নেতা হিসেবে নির্বাচনী প্রচারণায় মাঠে নামার ব্যাপারে তিনি বলেন, আমাদের নেতা-কর্মীরা সবসময়ই মাঠে আছে। আমি নিজেও সব সময় কথা বলছি জনগণের সঙ্গে। আপনাদের মধ্য দিয়েও কথা হচ্ছে। নেতা-কর্মীদেরও বোঝাচ্ছি, আমরা আছি।
আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক শিক্ষা মন্ত্রী শেখ শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরুল হুদা মিলু চৌধুরী এবং নির্বাহী পরিচালক তালুকদার মনিরুজ্জামান মনিরসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৮
এইচএমএস/এমজেএফ