তিনি বলেন, আমরা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছি। এখন আমাদের সংগঠনকে শক্তিশালী করে জনগণের দৃঢ় ঐক্য গড়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
বিএনপি নেতাদের নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, সারাদেশে আমাদের নেতাকর্মীদের ৯৮ লাখ মামলা দেওয়া হয়েছে। আসামি করা হয়েছে ২৫ লাখ নেতাকর্মীকে।
বুধবার (৬ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি একথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সবার আগে আমাদের দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। এজন্য আমাদের আইনি লড়াই চলছে। এটির পাশাপাশি রাজপথে দুর্বার আন্দোলন করে তাকে মুক্ত করতে হবে, আন্দোলন ছাড়া নেত্রীর মুক্তি হবে না।
খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ, তাকে সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে এই অবৈধ সরকার। সবগুলো মামলা জামিনযোগ্য হলেও শুধু সরকারের প্রতিহিংসার কারণে তাকে মুক্ত করা যাচ্ছে না।
সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার খালেদা জিয়াকে ভয় পায় কারণ কারাগারে যাওয়ার পর তিনি গণতন্ত্রের মাতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন।
সিটি নির্বাচন জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সিটি নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে যায়নি, কারণ এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি জনগণের আস্থা নেই, তারা নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিয়েছে।
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতির জন্য সরকারকে দায়ী করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেন, সরকারের অবহেলা ও নিষ্ঠুর আচরণের কারণে আমরা সবাই উদ্বিগ্ন। সরকারের উচিত ছিল তাদের নিজেদের উদ্যোগে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। কিন্তু তারা তা করেননি, আমাদের হাইকোর্ট পর্যন্ত যেতে হয়েছে।
‘হাইকোর্ট থেকে নির্দেশ নিতে হয়েছে মেডিকেল বোর্ড করার। মেডিকেল বোর্ড নানা রকম বিশ্লেষণ করে সুপারিশ করেছেন কি ধরনের চিকিৎসা তার প্রয়োজন। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেই সুপারিশ সরকার বাস্তবায়ন করেনি। ’
তিনি বলেন, গতকাল আমাদের নেতারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করতে গিয়েছেন। কিন্তু কেন আলোচনা করেতে হবে। এই মেডিকেল বোর্ডই বলে দিয়েছে কি করতে হবে। এখন তারা জেলকোডের অজুহাত তুলেছে। জেলকোড অনুসারে চিকিৎসা হবে। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। আসলে তারা চান খালেদা জিয়া আরো অসুস্থ হয়ে পড়েন, আরো দুর্বল হয়ে পড়েন, যাতে দলের নেতৃত্ব দিতে না পারেন।
মানববন্ধনের আরও বক্তব্য দেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস-চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, শামসুজ্জামান দুদু, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১৯
এমএইচ/এএ