শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর শিশু কল্যাণ পরিষদ হল রুমে ভাসানী অনুসারী পরিষদে আয়োজিত মত বিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, দেশে গণতন্ত্রের কবর রচিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ঢাকা শহরে মওলানা ভাসানীর একটি স্মৃতিসৌধ করতে চেয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। তিনি বেশিদিন বাঁচেননি। তবে তার দল এখনও বেঁচে আছে। যদি বিএনপি জিয়াউর রহমানকে সম্মান করে, তাহলে তার কথারও সম্মান করা উচিৎ। বিএনপির উচিৎ প্রতি বছর মওলানা ভাসানীকে স্মরণ করা এবং রাজনৈতিকভাবে ঘোষণা করা সারাদেশে মওলানা ভাসানীর পরিচিতি তুলে ধরবে। বিএনপি যত বড় দলই হোক না কেন দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে তারা একলা চলতে পারবে না। আমরা সেটাই দেখতে পাচ্ছি।
ডাকসু নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ছাত্রদল পাঁচ নাম্বারে চলে এসেছে। এত বড় একটা দল তারা পাঁচ নাম্বারে চলে এলো। এত অহংকার ভালো না। ছাত্রদলের উচিৎ ছিল ছাত্র ইউনিয়ন, সাধারণ ছাত্র পরিষদের সঙ্গে যোগ দেওয়া। অনেক সময় পিছিয়ে আসতে হয়। অন্যের নেতৃত্ব মেনে নিতে হয়। তাহলেই ভবিষ্যত উজ্জ্বল।
তিনি আরও বলেন, দেশের ভবিষ্যৎ অত্যন্ত দুর্দিন কারণ আমরা মওলানা ভাসানীকে ভুলে গেছি। তার আদর্শকে ভুলে গেছি।
সংগঠনের প্রেসিডিয়াম মেম্বার মো. আখতার হোসেনের সভাপতিত্বে কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সঞ্চালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জিনাফ সভাপতি লায়ন মিয়া মো. আনোয়ার, মক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক মহাসচিব নঈম জাহাঙ্গীর, ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুজ্জামান মনির, হান্নান আহমেদ খান বাবলু প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৯
এমএইচ/জেডএস