মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে উপজেলার শারুঞ্জা গ্রামের বাসিন্দা জাহিদুল ইসলামের ছেলে আবু হেনা (৩৮) মামলাটি দায়ের করেন। মামলার বাদী কালাই উপজেলার উদয়পুর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ওয়াজেদ আলী দাদার কর্মী-সমর্থক বলে জানা গেছে।
কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) সুমন কুমার রায় বাংলানিউজকে জানান, আবু হেনার দায়ের করা মামলায়
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিনফুজুর রহমান মিলন, পুনট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল কুদ্দুস ফকির, উদয়পুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম নয়ন চৌধুরীসহ ১০২ জনের নামে এবং ১৫০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য পূর্ববর্তী বিরোধের জেরে শনিবার (১৬ মার্চ) রাতে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পুনট মোন্না পাড়ার মৃত আব্দুস সামাদ সরদারের ছেলে ও মিলনের কর্মী-সমর্থক আফতাব সরদার (৫৫) এবং পুনট মাইশ্বা পাড়ার শ্রী চারু মোহন্তের ছেলে রতন মোহন্ত (৪৮) নিহত হয়।
পরের দিন নিহত আফতাব সরদারের ছেলে গোলাম রব্বানী বাদী হয়ে মাত্রাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা
আওয়ামী লীগের সদস্য আ ন ম শওকত হাবিব তালুকদার লজিক এবং উদয়পুর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ওয়াজেদ আলী দাদাসহ ৪৭ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ১৫০ থেকে ২শ’ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে কালাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পৃথক দু’টি মামলায় কালাই উপজেলার উদয়পুর, পুনট ও মাত্রাই ইউনিয়নের বাসিন্দারা অনেকটাই ভীতির মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৯
আরএ