শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
‘ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ: জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও বামপন্থীদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে অক্টোবর বিপ্লব শতবর্ষ উদযাপন জাতীয় কমিটি।
আলোচক হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি প্রমুখ।
অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সারা বিশ্বে পুঁজিবাদ এখন ফ্যাসিবাদী আকার ধারণ করেছে। পুঁজিবাদ এখন মানুষ ও সকল প্রাণীর শত্রু। বলা হচ্ছে- সে নিজেই নিজের ঘাড়ে ভেঙে পড়বে, যখন নৈরাজ্য-অরাজকতা দেখা দেবে।
এই অবস্থাকে বিদায় করতে হলে যা দরকার, তা আমাদের অক্টোবর বিপ্লব শিখিয়েছে। এটার জন্য সুশৃঙ্খল পার্টি দরকার। এই পার্টি ছিল না বলে বিপুল সম্ভাবনাটা কাজে লাগানো যায়নি। এর জন্য জ্ঞানের দরকার হবে। যা আসবে ইতিহাস, দর্শন ও অভিজ্ঞতা থেকে। ঐক্য হতে হবে সমাজ বিপ্লবের জন্য। ব্যক্তি মালিকানা থেকে সামাজিক মালিকানায় পরিণত না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম করতে হবে। আজকের সংগ্রাম সামাজিক বিপ্লবের সংগ্রাম।
তিনি বলেন, পুঁজিবাদী ব্যবস্থা দূর করার বিষয়ে আবুল মনসুর আহমদও বলেছেন। বর্তমানে শ্রেণি বৈষম্যের বিষয়টি সামনে এসেছে। এটি দূর করাটা অক্টোবর বিপ্লব উদযাপনের মধ্য দিয়ে আমরা সামাজিক বিপ্লবের দিকে নিয়ে যাবো।
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ঊনসত্তরের নির্বাচনে জয় লাভের কারণে শেখ মুজিবুর রহমান নেতৃত্বের আসনে ছিলেন। বামপন্থীরাও তাকে সমর্থন দেন। নেতৃত্ব গ্রহণ করলেও আওয়ামী লীগ অন্যদের গুরুত্ব দেয় না। সেভাবে গ্রহণ করে না। অথচ দেশের ভেতরে প্রতিকূল সময়ে বামরা রাজশাহী, খুলনা ও চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের ধারা তৈরি করেন।
তিনি বলেন, আইয়ুব খানের উন্নয়নের দশক ছিল জনগণকে মোকাবিলার প্রধান অস্ত্র। বর্তমানে উন্নয়নের তৃতীয় দশক চলছে। প্রবল চাপের মধ্য দিয়েও ষাটের দশকে বামপন্থীদের ভালো অবস্থান ছিল। কিন্তু একাত্তর সালে প্রবল চাপের মধ্যে ঐক্য থাকলে অন্য রকম ভূমিকা পালন করতে পারতেন। স্বাধীন পূর্ব বাংলা গঠন করা কমিউনিস্ট পার্টির অন্যতম কাজ ছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সভায় মোজাহিদুল ইসলাম সেলিম বামপন্থীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৯
এসকেবি/টিএ