শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে এ বিক্ষোভ মিছিলটি বের করা হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কয়েকশ’ নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে বিক্ষোভ মিছিলটি নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে আবারও নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে নেতাকর্মীরা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে সোচ্চার কণ্ঠে স্লোগান দেন।
মিছিল শেষে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক পথসভায় রুহুল কবির রিজভী বলেন, গত ৩০ ডিসেম্বর মিডনাইট নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রের শেষ চিহ্নটুকু মুছে ফেলতে উঠেপড়ে লেগেছেন। সেজন্য তিনি এখন বাকশালের প্রশংসা করে বক্তব্য রাখছেন। অর্থাৎ বাক স্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা তথা গণতন্ত্রকে কফিনে মুড়িয়ে কবর দেওয়ার জন্যই বাকশাল নামক ‘৭৫ এর দুর্বিষহ দুঃশাসনের কালের জয়গান শুরু করেছেন। শেখ হাসিনার এই বক্তব্য অশুভ ইঙ্গিতবাহী।
তিনি বলেন, নিষ্ঠুর কর্তৃত্ববাদী শাসনের পথে যাতে কোনো ধরনেরই কাঁটা না থাকে সেজন্য এদেশে গণতন্ত্রকে যিনি বারবার স্বৈরশাসনের শৃঙ্খল ভেঙে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছেন সেই ‘গণতন্ত্রের মা’ খালেদা জিয়াকে বেআইনিভাবে কারাগারে বন্দী করে রাখা হয়েছে। জীবন এখন চরম সংকটের মধ্যে। অবহেলা ও বিনা চিকিৎসায় কারাগারে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে এক বিভিষিকাময় পরিস্থিতির দিকে। তিনি এখন জীবন-মরণের সন্ধিক্ষণে।
রিজভী বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসাকে সরকারের বাধাগ্রস্ত করা দুরভিসন্ধিমূলক। গণবিরোধী কাজের দরুন এখন সরকারের কোনো গণভিত্তি নেই। আওয়ামী সরকার ঔপনিবেশিক শাসনের মতো জনগণের ক্ষমতাকে কেড়ে নিয়ে জনগণের স্বাধীনতাকে হরণ করেছে। সুতরাং গণশক্তির কাছে এ সরকার অল্প কিছুদিনের মধ্যেই নতজানু হয়ে পড়বে। শেখ হাসিনার অপশাসন জনগণ সব শক্তি দিয়ে রুখে দেবে। গণতন্ত্র পূনর্রুদ্ধার ও খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করতে এখন সংগ্রামী জনতা রাজপথে ধেয়ে আসছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৯
এমএইচ/এসএইচ