ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

নিরাশ হলে চলবে না: ড. কামাল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৯
নিরাশ হলে চলবে না: ড. কামাল গণফোরামের বিশেষ কাউন্সিলের উদ্বোধনী বক্তব্য দিচ্ছেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: নিরাশ হলে চলবে না। জনগণের বিজয় হবেই হবে। দু’তিন বছর কেউ এভাবে চলতে পারে। জনগণ ঠিকই সময়মতো জবাব দেবে। তবে জনগণ কার্যকর ভূমিকা না রাখলে সংবিধানকে অবজ্ঞা করে যারা ক্ষমতা ধরে রাখতে চায় তারা লাভবান হবে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে গণফোরামের বিশেষ কাউন্সিলের উদ্বোধনী বক্তব্যে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন একথা বলেন।

ডা. কামাল বলেন, পুলিশ জনগণের সেবক।

এদের দায়িত্বের ব্যাপারে সংবিধানে স্পষ্ট করে লেখা আছে। পুলিশ এদেশের মালিক না। জনগণ এদেশের মালিক। জনগণকেই খেয়াল রাখতে হবে পুলিশ যেন তার ক্ষমতার বাইরে গিয়ে যথেচ্ছভাবে ক্ষমতা প্রয়োগ করতে না পারে।

তিনি বলেন, সব পুলিশই যে তার ক্ষমতার বাইরে গিয়ে কাজ করছে তা কিন্তু নয়। পাকিস্তান আমলে পুলিশ নিয়ে গর্ব করা হতো। তারা আইনের বাইরে গিয়ে কখনো ক্ষমতা প্রয়োগ করতো না। কেননা তখন পশ্চিমা পুলিশের অন্যরকম ভূমিকা ছিল। সুষ্ঠু গণতন্ত্র তখনই থাকবে যখন দেশে আইনের শাসন থাকবে।

‘যারা রাষ্ট্রক্ষমতা পায় তারা জনগণের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রতিনিধি হয়ে সে ক্ষমতা পায়। জনগণকে দেখতে হবে এই জনপ্রতিনিধিরা সংবিধানে দেওয়া ক্ষমতামেনে দেশ চালাচ্ছে কিনা?’

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, হতাশ হবেন না। এদেশের মানুষ কখনো স্বৈরাচার মেনে নেয়নি, নেবেও না। দেশের মালিক জনগণ।  

তিনি সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার প্রশংসা করে বলেন, তার ভূমিকাকে খাটো করে দেখা যাবে না। তিনি অনেক সাহসী ভূমিকা রেখেছেন জীবনে ঝুঁকি নিয়ে।

সরকারের বিভিন্ন নেতিবাচক পদক্ষেপের ব্যাপারে বলেন, তারা (সরকার) তার ব্যাপারে এ ধরনের সিদ্ধান্ত না নিলেও পারতো। সাবেক এই বিচারপতির ভূমিক চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

বর্ষিয়ান এই রাজনীতিক বলেন, স্বাধীনতা ও সংবিধানকে রক্ষা করতে হলে জনগণকে সর্তক থাকতে হবে, ঝুঁকি নিতে হবে। এর পাশাপাশি অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন আদায়ে জনগণকেই সজাগ থাকতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজনের কথা সংবিধানে লেখা আছে, তবে তা পালন করা হ নি। এ ব্যাপারে সবারই কমবেশি অভিজ্ঞতা আছে।

‘সংবিধানে দেওয়া দায়িত্ব যেন সঠিকভাবে পালন করা হয় সে ব্যাপারে জনগণকে সংগঠিত হতে হবে। সবাই সচেতন থাকতে হবে, তার ভোট সে নিজে দিতে পারছে কিনা তা জনগণকে খেয়াল রাখতে হবে। জনগণ ক্ষমতার মালিক- এটা কিন্তু হালকা কথা নয়।

কাউন্সিলে গণফোরামের কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে মফিজুল ইসলাম খান কামাল, অ্যাডভোকেট এসএম আলতাফ হোসেন, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, ড. রেজা কিবরিয়া, মেজর জেনারেল অব. আমসা আমিন, ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল হক, অ্যাডভোকেট মহসিন রশিদ, অ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক, মোশতাক আহমেদ, এম শফিউর রহমান খান বাচ্চু, ফরিদা ইয়াছমীন, মাহমুদ উল্লাহ মধু, রফিকুল ইসলাম পথিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সকাল ১০টার দিকে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে গণফোরামের জাতীয় কাউন্সিল আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। কাউন্সিল উদ্বোধন করেন দলের সভাপতি ড. কামাল হোসেন। কাউন্সিলে সারাদেশের সাংগঠনিক জেলার প্রতিনিধিরা যোগ দিয়েছেন।

***গণফোরামের কাউন্সিলে কামালের সঙ্গে মঞ্চে মোকাব্বির খান 
বাংলাদেশ সময়: ১৬১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৯
এমএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।