শুক্রবার (১৪ জুন) বিকেল ৪টায় নারায়গঞ্জের চাষাড়ায় ওয়ার্কার্স পার্টি জেলার সদস্যদের সাধারণ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। ওয়াকার্স পার্টির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
বাজেট প্রসঙ্গে ক্ষমতাসীন জোটের অন্যতম নেতা রাশেদ খান মেনন বলেন, মধ্যবিত্তকে চাপে রেখে ধনীদের প্রতি পক্ষপতিত্ব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। স্মার্টফোনের শুল্ক কার্যকীকরণ করে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে ডিজিটাল ডিভাইসকে আরও রাঙিয়ে তুলেছেন তিনি।
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বলেন, পোশাক শিল্প মালিকদের প্রণোদনা বাড়লেও পোশাক শিল্প শ্রমিকরা সেই তিমিরেই থাকলেন। যে কৃষক ধানসহ তার উৎপাদিত পণ্যের দাম না পেয়ে নিঃস্বপ্রায়, তাদের পণ্যমূল্য সহায়তার ব্যবস্থা বাজেটে নেই। বাংলাদেশের অর্থনীতির ও সমৃদ্ধির মূল চালিকা শক্তি কৃষক, শ্রমিক, নারী উদ্যোক্তারা অবহেলিতই রয়ে গেলেন।
অর্থনৈতিক বৈষম্যের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে রাশেদ খান মেনন বলেন, কেবল আয় বৈষম্যই নয়, গ্রাম-শহরের বৈষম্য অর্থনীতির ভারসাম্য নষ্ট করছে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পাকিস্তানের বাইশ পরিবারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল এদেশের মানুষ। এখন এদেশে ‘সুপার ধনী’র সংখ্যা আরও কম এবং এরাই ক্ষমতার চার পাশে বলয় তৈরি করে রেখেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যে ‘শোষিতের গণতন্ত্র’- এর কথা বলতেন বর্তমান উদারবাদী অর্থনীতির ধারা তাকে কোনো পরিণতির দিকে নিয়ে যাবে, ২০২১ সালের সুবর্ণজয়ন্তীতে এই বাজেট পাঠে তা বুঝতে অসুবিধা হয় না কারও।
বাংলাদেশের সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৯
আরকেআর/এইচএ/