তবে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে চতুর্থ দফায় ঘোষিত তারিখ শনিবার (১৫ জুন) এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে সম্মেলনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
এছাড়াও উপস্থিত থাকবেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশিদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত মুন্না এমপি, হাসিবুর রহমান স্বপন এমপি, অধ্যাপক ডা. আব্দুল আজিজ এমপি, তানভীর ইমাম এমপি ও আব্দুল মমিন মণ্ডল এমপি।
এদিকে দীর্ঘদিন পরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জেলা যুবলীগের সম্মেলন ঘিরে যুবলীগের ১২টি ইউনিটের নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত হয়ে উঠেছেন। নেতাকর্মীদের মধ্যে দেখা গেছে প্রাণচাঞ্চল্য। শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো ছেয়ে গেছে পোস্টার, ডিজিটাল ব্যানারে। সড়ক-মহাসড়কে নির্মাণ করা হয়েছে শতাধিক তোরণ।
জেলা যুবলীগের নেতাকর্মীরা জানান, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিন বছর পর সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও পেরিয়ে গেছে দীর্ঘ ১৩ বছর। ২০১৭ ও ২০১৮ সালে তিন দফায় সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু নির্ধারিত তারিখের আগমুহূর্তেই ওই সম্মেলন স্থগিত করা হয়। এতে সম্ভাব্য পদপ্রত্যাশী প্রার্থীসহ দলীয় নেতাকর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েন।
এদিকে সংগঠনের প্রধান দু’টি পদ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে একাধিক প্রার্থী জোর প্রচারণা চালিয়ে গেলেও আলোচনায় রয়েছে দু’টি প্যানেলের চার প্রার্থী। এরা হলেন- সভাপতি পদে সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি রাশেদ ইউসুফ জুয়েল ও পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক এমদাদুল হক এমদাদ এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল হক ও সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান সোহেল। সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার পর থেকেই এসব প্রার্থী ১২টি ইউনিটের নেতাকর্মীদের সমর্থন পেতে জোর প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছেন।
জেলা যুবলীগের বিদায়ী সভাপতি মঈনুদ্দিন খান চীনু বলেন, এর আগে তিন দফায় তারিখ পরিবর্তিত হলেও এবার নির্ধারিত তারিখেই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে ১২টি ইউনিটের ৩৭১ জনের ভোটার তালিকা হস্তান্তর করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সম্মেলনের সব প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি শনিবার (১৫ জুন) সফলভাবে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩০৪ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৯
এএ