শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, দেশের মহাসড়কগুলো টোল আদায়ের জন্য উপযুক্তই নয়।
টোল থেকে আদায় হওয়া টাকার কত অংশ সরকারি কোষাগারে জমা পড়বে এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, সরকার নিজেরা টাকা ওঠালে সেখানে দুর্নীতির কারণে নয়-ছয় হয়। আবার ইজারা দিলে খাতিরের লোকজনকে নামমাত্র মূল্যে দেওয়া হয়৷। ফলে, সরকারি কোষাগারে খুব বেশি টাকা জমা পড়ে না। অন্যদিকে, টোল প্লাজা পার হতে যদি প্রতিটি গাড়ির পাঁচ মিনিট করেও সময় লাগে, তাহলে শুধু ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পাঁচ লাখ মিনিট সময় মানুষের জীবন থেকে চলে যাবে। এক লাখ গাড়িতে তো অনেক মানুষ চড়েবন, পাশাপাশি টোল আদায়ের সময় গাড়ির অতিরিক্ত তেল পুড়লে তার টাকাও আদায় হবে জনগণের কাছ থেকেই। সুতরাং, টোলের খড়গ নেমে আসবে তাদের কাঁধেই।
বিএনপি নেতা বলেন, সরকার মুখে ‘টাইটানিক মার্কা’ উন্নয়নের বুলি কপচালেও মূলত লুটপাটের নীতিতে দেশ চালাচ্ছে তারা। জনগণকে নানা ট্যাক্সের মধ্যে বন্দি করে ফেলেছে। সিটি ও পৌরকর কীভাবে বাড়ানো হয়েছে, সেটাও আপনারা দেখেছেন। একটা ট্রেড লাইসেন্স নিতে গেলে এখন পাঁচ থেকে ১০ হাজার টাকা গুনতে হচ্ছে। বাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়িয়েছে বহুগুণ। গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির বিল কয়েক বছরে বাড়িয়েছে ১০ গুণের বেশি। মানুষ মোবাইলে কথা বলবে, সেখান থেকেও টাকা কেটে নিচ্ছে সরকার। সত্যিকার অর্থে এ সরকার লুটপাট চালিয়ে দেশকে ফোকলা করে ফেলেছে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, জামিনে থাকলেও তা বাতিল করে আবারও কারাগারে পাঠানো হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে তার মুক্তি দাবি করছি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, মাহবুবুল হক নান্নু, সহ-প্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, নির্বাহী সদস্য আমিনুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৯
এমএইচ/একে