ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

২৮ সেপ্টেম্বরকে ‘জনগণের ক্ষমতায়ন দিবস’ স্বীকৃতির দাবি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৯
২৮ সেপ্টেম্বরকে ‘জনগণের ক্ষমতায়ন দিবস’ স্বীকৃতির দাবি

ঢাকা: ২৮ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনকে ‘জনগণের ক্ষমতায়ন দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছে যুবলীগ। একই সঙ্গে শেখ হাসিনার ‘জনগণের ক্ষমতায়ন’ দর্শনকে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিও জানানো হয়েছে। 

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) শেখ হাসিনার জন্মদিন ‘জনগণের ক্ষমতায়ন দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ দাবি জানানো হয়।  

ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

আলোচনা সভায় যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমার ফারুক চৌধুরী এ দাবি জানান। এ সময় করতালি দিয়ে তার এ দাবির প্রতি সমর্থন জানান যুবলীগের হাজারো নেতাকর্মী।  

ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, ২৮ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার জন্মদিন জনগণের ক্ষমতায়ন দিবসকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি জানাই। সেই সঙ্গে শেখ হাসিনার জনগণের ক্ষমতায়ন দর্শনকে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
যুবলীগ চেয়ারম্যানের এই প্রস্তাব সমর্থন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনও। আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, মানুষকে যদি ক্ষমতায়ন করা যায় তাহলে সব সমস্যা সমাধান হবে, শেখ হাসিনা এ বিষয়টা নিয়ে ভাবেন। তার এই দর্শন নিয়ে ২০১২ সালে জাতিসংঘে রেজ্যুলেশন গ্রহণ করা হয়েছে।  

‘শেখ হাসিনাই একমাত্র ব্যক্তি ও রাষ্ট্র বা সরকার প্রধান যার নামে জাতিসংঘে রেজ্যুলেশন গ্রহণ করা হয়েছে। তাই রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির এই প্রস্তাব, ভালো প্রস্তাব। এটা করা উচিৎ। ’

আলোচনা সভায প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওযামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর গত ৪৪ বছরে বাংলাদেশে সফল রাজনীতিক, প্রশাসক, কুটনীতিক, বিচক্ষণ, সাহসী নেতার নাম শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার জন্মদিনকে জনগণের ক্ষমতায়ন দিবস হিসেবে যে অবিধা দেওয়া হয়েছে তা যথার্থ।  

‘শেখ হাসিনা জেগে আছেন বলেই বাংলাদেশ নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে থাকে। শেখ হাসিনার নাম আজ পৃথিবীর দেশে দেশে উন্নয়নের মডেল হিসেবে উচ্চারিত হয়। একজন রাজনীতিবিদ ভাবেন পরবর্তী নির্বাচন নিয়ে। আর শেখ হাসিনা ভাবেন পরবর্তী জেনারেশন নিয়ে, ১০০ বছর তার ভিশন। তিনি রাজনীতিক নন, তিনি রাষ্ট্রনায়ক এটা দেশে-বিদেশে স্বীকৃত। ’

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার মতো সাহস ও সততা নিয়ে এগিয়ে গেলে সব অ্যাজেন্ডা আমরা বাস্তবায়ন করতে পারবো। আমরা অনেকেই হারিয়ে যাবো কিন্তু শেখ হাসিনা হারাবেন না।  

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। এতে বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবুল বারাকাত. প্রধানমন্ত্রীর সাবেক স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মির্জা আজম, যুবলীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক হারুণ অর রশিদ প্রমুখ।

আলোচনা সভা শেষে শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এর আগে সকাল থেকেই যুবলীগ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠানস্থলে রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৯
এসকে/এমএ   

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।