ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বৈঠক শুরু, শোভন-রাব্বানীর ভবিষ্যত জানতে সবার নজর গণভবনে

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৯
বৈঠক শুরু, শোভন-রাব্বানীর ভবিষ্যত জানতে সবার নজর গণভবনে

ঢাকা: আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা গণভবনে শুরু হয়েছে। সভায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক বিষয়াদি আলোচনার পাশাপাশি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিষয়েও কী সিদ্ধান্ত আসে-তা জানতে সবার নজর এখন গণভবনে।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা শুরু হয়।  

দলের একাধিক সিনিয়র নেতা জানান, সভায় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ইস্যু ছাড়াও ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী ইস্যুতে আলোচনা হতে পারে।

তাদের নেতৃত্বে রাখা-না রাখা বিষয়েও সিদ্ধান্ত আসতে পারে।  

তারা বলেন, পুরো বিষয়টি আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কী চান তার ওপর নির্ভর করছে। তিনি না চাইলে আজকের বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা নাও হতে পারে।

সভায় আওয়ামী লীগের সম্মেলন কবে হবে সে বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।

গত ৭ সেপ্টেম্বর গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভায় বিতর্কিত, নেতিবাচক কর্মকাণ্ড এবং অযোগ্যতায় ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।  

ওই সভায় তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে শোভন-রাব্বানীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় কমিটি ভেঙে দিতে বলেন বলেও গণমাধ্যমে খবর আসে।

এরপরে ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গণভবনে গেলে তাদের সাক্ষাৎ দেননি প্রধানমন্ত্রী। পরে গণভবনে প্রবেশে তাদের স্থায়ী পাসও বাতিল করে দেওয়া হয়।

এদিকে বিষয়টি পুরোপুরি শেখ হাসিনার ওপর নির্ভর করায় সুনির্দিষ্ট করে কেউ কিছু বলতেও পারছেন না। তবে আওয়ামী লীগের কোনো কোনো নেতা মনে করছেন, শোভন-রাব্বানীকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে নেওয়া হতে পারে।

শোভন-রাব্বানীর বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে সেখানকার প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার একটি উন্নয়ন প্রকল্প থেকে কমিশন দাবি, দেরিতে ঘুম থেকে ওঠা, ফোন না ধরা, মাদক সেবন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের অতিথি হিসেবে রেখে নিজেরা তাদের পরে অনুষ্ঠানে যাওয়া, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে বির্তকিতদের পদ দেওয়া, ত্যাগী নেতা-কর্মীদের বঞ্চিত করার অভিযোগ রয়েছে।  

এমনকি পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিতে অর্থনৈতিক লেনদেনসহ বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ রয়েছেও উঠেছে ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে।

এদিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য রয়েছে।  
 
ক্ষমা চেয়ে ও অভিযোগ বিষয়ে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক অভিভাবক শেখ হাসিনার কাছে চিঠিও দিয়েছেন শীর্ষ এ দুই নেতা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৯
এসকে/এমইউএম/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।