ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ক্যাসিনোকাণ্ডে যুবলীগ নেতা সম্রাট আটক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৬, ২০১৯
ক্যাসিনোকাণ্ডে যুবলীগ নেতা সম্রাট আটক ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট।

ঢাকা: ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও সহসভাপতি আরমানকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

রোববার (৬ অক্টোবর) ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর থেকে তাদের আটক করা হয়।

ক্যাসিনোকাণ্ডে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে সম্রাট ও আরমানকে আটক করা হয়েছে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন র‌্যাবের মিডিয়া উইংয়ের মুখপাত্র সারওয়ার-বিন-কাশেম।

ক্যাসিনো চালানো, চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজিসহ নানা অভিযোগ রয়েছে যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি রাজধানীর মতিঝিলসহ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার সরকারি দফতর, ক্লাবসহ বিভিন্ন সংস্থার কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সহ-সভাপতি আরমান। অভিযোগ রয়েছে, মতিঝিলসহ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন এলাকায় যেসব ক্লাব রয়েছে, তাতে ক্যাসিনোসহ প্রতিদিন চলতো জুয়া। এসব ক্লাব নিয়ন্ত্রণ করেন যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি সম্রাট। সরকারি বিভিন্ন দফতর ও ভবনের টেন্ডারও তার নিয়ন্ত্রণে। এই এলাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে অবৈধ কার পার্কিং থেকেও প্রতিদিন মোটা অংকের চাঁদা ঢোকে সম্রাটের পকেটে। এ সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করে সম্রাটের লোকজন।  

আগে থেকে সম্রাটের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ থাকলেও যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি এলাকায় আরও প্রভাবশালী হয়ে ওঠেন বলে সূত্রগুলো জানায়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুদ্ধি অভিযান শুরুর পর থেকেই সবচেয়ে আলোচিত নাম ছিল সম্রাট।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার মালিকানাধীন অবৈধ ক্যাসিনোতে অভিযান চালায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরপর তাকেও গ্রেফতার করা হয়। ২০ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করা হয় যুবলীগের আরেক কথিত নেতা জি কে শামীমকে।  

বিভিন্ন ক্লাব ও অপকর্মের সঙ্গে জড়িত নেতাদের অফিস এবং বাসায়ও অভিযান চালাচ্ছে শৃঙ্খলা বাহিনী। খালেদ মাহমুদ ও জি কে শামীমের পাশাপাশি কয়েকটি ক্লাবে অভিযান চালিয়ে ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িত আরও দেড় শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।

** এখনও সম্রাটকে আটক করা হয়নি কেন, প্রশ্ন তাপসের

বাংলাদেশ সময়: ০৯২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১৯
এজেডএস/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।