ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

এমওইউ’কে বিএনপি চুক্তি কেন বলছে, প্রশ্ন কাদেরের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৯
এমওইউ’কে বিএনপি চুক্তি কেন বলছে, প্রশ্ন কাদেরের বক্তব্য রাখছেন ওবায়দুল কাদের। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চিঠি দিয়ে ভারতের সঙ্গে করা চুক্তি জনসম্মুখে প্রকাশে বিএনপির দাবির বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এমওইউ (মোমোরেন্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং) ও চুক্তির মধ্যে কী পার্থক্য, এটা তারা বোঝে না।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) সচিবালয়ে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির নেতৃত্বে অনেক বিজ্ঞ-অভিজ্ঞ ব্যক্তি আছেন।

আমি অবাক হয়ে যাই, এমওইউ ও চুক্তির মধ্যে কী পার্থক্য, এটা তারা বোঝেন না। চুক্তি ও এমওইউ এক কথা না। এখানে কোনো চুক্তি হয়নি। এমওইউ হয়েছে চারটি আর তিনটি ওপেনিং।

‘বিএনপিকে বলুন, তারা এমওইউ ও চুক্তির মধ্যে পার্থক্যটা কেন বোঝে না? এটা জেনেও কি না জানার ভান করছে? এমওইউকে কেন চুক্তি বলছে, এটা আমার প্রশ্ন। আর এখানে নাথিং সিক্রেট, এভিরিথিং ইজ ওপেন সিক্রেট। এমওইউ’তে যা কিছু আছে, কোনোটাতেই সিক্রেসি কিছু নেই। আর এটা কোনো চুক্তি না। ’

জি কে শামীম আমার এখানে ঢুকতে পারেনি
চলমান শুদ্ধি অভিযান নিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, শুদ্ধি অভিযান যে থামেনি প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্টে বলে দিয়েছেন, এটা আমার বলা লাগবে না। তিনি বলেছেন, উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত শুদ্ধি অভিযান চলতে থাকবে।

সড়ক খাতে জি কে শামীমের মতো প্রভাবশালী কেউ আছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জি কে শামীম আমার এখানে ঢুকতে পারেনি। এধরনের কেউ আমার এখানে ঢুকতে পারে…! আমার এখানে যারা কাজ করে, আপনারা ভালো করে জানেন। একটা বিদেশি কোম্পানিকে তাদের কার্যাদেশ বাতিল করেছি ঘুষ দেওয়ার কারণে। আমার সচিবকে চায়ের প্যাকেটে করে ঘুষ দিতে এসেছিল, সেজন্য ওই কোম্পানিকে নিষিদ্ধ করে দিয়েছি আমাদের এখানে কোনো কাজ দেওয়া নিয়ে।

কাদের বলেন, আমাদের এখানে মূলত কাজগুলো করে আর্মি, মোনেম কোম্পানি, রেজা কনস্ট্রাকশন। কিন্তু, কোনো কন্ট্রাক্টর আমার অফিসে কখনো আলাপ করেনি। তারা কোনো আলাপ করলে চিফ ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে করে।

বিভিন্ন অপকর্ম করে দল থেকে বহিষ্কৃত ‘শটগান সোহেল’ দেশে এসেছে, মিরপুরের শাহাদত মিল্কি হত্যার আসামি ঢাকা আসার প্রস্তুতি নিচ্ছে- এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রস্তুতি নিচ্ছে। দেখি না, আসুক।  

একজন (শটগান সোহেল) তো এসে গেছে, মন্ত্রীদের সঙ্গে ছবি তুলছে, ফেসবুকে ভাইরাল করছে, আপনার সঙ্গে হয়তো তুলতে পারেনি- এর জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমার মনে হয় না সেধরনের স্কোপ আছে। পুলিশ নিশ্চয়ই বিষয়টা খতিয়ে দেখছে। সেধরনের কিছু হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

‘এখানে কারও ব্যাপারে কোনো শৈথিল্য প্রদর্শনের সুযোগ নেই। কারণ, প্রাইম মিনিস্টার ইজ ভেরি সিরিয়াস অ্যাবাউট ইট। টার্গেট অ্যাটিভ করার জন্য যত ধরনের স্যাক্রিফাইস প্রয়োজন, আমরা করবো। এখানে প্রাইম মিনিস্টার তার আত্মীয়দেরও রেহাই দেননি, এটা তো আপনাদের বুঝতে হবে। ’

ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান নাঈমকে নিয়ে গণমাধ্যমে বিয়ের বিষয়টি আসছে- এ বিষয়ে তিনি বলেন, দেখেন, কবে বিয়ে করেছে, কী একটা বিষয়ক… যে কয়জন কাউন্সিলরদের মধ্যে শুদ্ধি অভিযানে মিডিয়াতে রিপোর্ট এসেছে, এর মধ্যে তার নাম নেই। কোনো ধরনের দুর্নীতি বা দুষ্কর্মের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে আসেনি। এখন বিয়ের অনুষ্ঠানে কবে কী একটা করেছে, সেটা এখন আসছে, তারপরও আমি বিষয়টা খতিয়ে দেখবো।

শুদ্ধি অভিযানে ব্যবসায়ীরা বিশাল অংকের টাকা উঠিয়ে নিয়েছে- এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রমাণ দেন, কোথায় কোথায় টাকা উঠিয়ে নিয়েছে, আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।

পেঁয়াজ নিয়ে হাহাকারের বিষয়ে এক প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, দুই-তিনদিনের মধ্যে পেঁয়াজের চালান আসলে আশা করি এই হাহাকার কমতে শুরু করবে। ঘাটতি পূরণ হলে হাহাকারও কমে যাবে।   

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৯
এমআইএইচ/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।