স্কাইপের মাধ্যমে যুব মৈত্রী ও ছাত্র মৈত্রীর যৌথ উদ্যোগে রোববার (২৩ মার্চ) হ্যান্ড স্যানিট্যাইজার উৎপাদন কর্মসূচি উদ্বোধনকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
উদ্বোধনী বক্তৃতায় রাশেদ খান মেনন বলেন, করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার ৩ মাস নষ্ট হয়েছে, কিন্তু এই সময়ের মধ্যে দেশে শুধুমাত্র স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি পরীক্ষাগার ছাড়া সরকার আর কোথাও করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণের ব্যবস্থা নিতে পারেনি।
‘বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা যেখানে পরীক্ষার উপরে জোর দিচ্ছে সেখানে এখনও আমরা কিট আনার কথা বলছি। চিকিৎসা স্বাস্থ্যকর্মীদের কোনো প্রতিরোধমূলক পোশাক না থাকায় তারাও আতঙ্কিত। সেই পোশাক এখনও আনা হচ্ছে, এই আনা কবে শেষ হবে তা কেউ জানে না। করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণে বেসরকারি হাসপাতালগুলো সরকারের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে কেন তাদের এগিয়ে আসার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে না তা বোধগোম্য নয়। ’
তিনি বলেন, দেশের অবস্থা লকডাউনের পর্যায়ে পৌঁছেছে। আমাদের দেশে যারা দিন আনে দিন খায়, সেই শ্রমজীবী মানুষের কী অবস্থা হবে? শিল্প শ্রমিকদের বেতন-বোনাসের কী হবে? চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশ কোয়ারেন্টিনে থাকা মানুষদের খাদ্য ও ঔষধপত্র পৌঁছে দিচ্ছে। যুক্তরাজ্য কর্মীদের বেতনের ৮০ শতাংশ সরকার বহন করবে বলে বলছে। সেখানে আমাদের দেশে শ্রমঘন গার্মেন্টস শিল্পের শ্রমিকদের জন্য সরকার ব্যবস্থা নেবেন বলে আশা করছি এবং সেই সক্ষমতাও আমাদের আছে। ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে গ্রামীণ দারিদ্র্য জনগোষ্ঠীর মধ্যে খাদ্য পৌঁছে দিতে হবে।
সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মেনন বলেন, সরকারের সব অংশকে এই যুদ্ধে নিয়োজিত করতে হবে। করোনা মহামারীর বিরুদ্ধে এই জনযুদ্ধ মোকাবেলায় আমাদের সবাই এগিয়ে আসতে হবে।
করোনা বিষয়ে চীন ও কিউবার সাহায্যে নেওয়ার আহ্বানও জানান কমরেড মেনন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২০
আরকেআর/এমএ