শুক্রবার (০৩ এপ্রিল) সকাল ১১টায় কুষ্টিয়ার ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে করোনা সংক্রমণরোধে চিকিৎসকদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
হানিফ জেলার সিভিল সার্জনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, বেসরকারি ক্লিনিক শুধুমাত্র ব্যবসায়িক মনোভাব নিয়ে কার্যক্রম চালাতে পারবে না।
হানিফ আরও বলেন, চিকিৎসকদের বিরুদ্ধেও অনেক অভিযোগ রয়েছে যারা করোনা সংক্রমণের ভয়ে চিকিৎসা দিচ্ছেন না। এতে করোনা নয়, অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীরাও চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বিষয়টি দুঃখজনক। আমি আশাকরি ভীত না হয়ে এইসেবাকে পবিত্র দায়িত্ব মনে করে সবার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করবে তারা।
এসময় তিনি কুষ্টিয়াতে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা যায় কিনা সে বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতারও আশ্বাস দেন। সেইসঙ্গে রোগীদের হোম সার্ভিস সেবা নিশ্চিতেও চিকিৎসকদের নির্দেশ দেন।
কুষ্টিয়ায় করোনাকে পুঁজি করে অসহায় মানুষদের সহায়তার নামে চাঁদাবাজি বন্ধে কঠোর নির্দেশনা দিয়ে হানিফ বলেন, বর্তমান শেখ হাসিনার সরকার জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। এই দুর্যোগ মোকাবিলায় চিকিৎসাসহ তাদের খাদ্য সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় ওইসব খাদ্যসামগ্রী মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সহায়তার নামে কোনো চক্র বা গোষ্ঠী কোনো ব্যবসায়ী কিংবা প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি করলে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে।
মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেন, পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক আসগর আলী, বিএমএ সভাপতি ডা. আমিনুল হক রতন, কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন এইচএম আনোয়ারুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য মাযহারুল আলম সুমন, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনিসুজ্জামান ডাবলু প্রমুখ।
কুষ্টিয়া শহরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ড আয়োজিত অসহায় কর্মহীন মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে অংশ নেন হানিফ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০২০
আরএ