সোমবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে ওয়ার্কার্স পার্টির দিন আনে দিন খাওয়া মানুষের মধ্যে খাদ্য বিতরণ কর্মসূচিতে ভিডিওর মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।
রাশেদ খান মেনন বলেন, এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি প্রয়োজন অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে যে মানুষগুলো রয়েছে তাদের কাছে খাদ্য পৌঁছে দেওয়া।
মেনন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল যে পাঁচটি প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন তাকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি। যদি ব্যাপক সংকট সৃষ্টি ঠেকাতে হয় সেক্ষেত্রে একদিকে যেমন জীবন বাঁচাতে হবে, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থায় নজর দিতে হবে, ঘরে ঘরে নিজেদের থাকতে হবে তেমনি অন্যদিকে তার জীবিকাও বাঁচাতে হবে, না হলে পরে তার পক্ষে কর্মক্ষম থাকা সম্ভব হবে না।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবার যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন তা অত্যন্ত সাহসী পদক্ষেপ কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু সাধারণ যে লোকগুলো এই কাজে যুক্ত থাকবে, যারা অর্থনীতির মূল ভূমিকায় রয়েছে তাদের কর্মক্ষম রাখা, তাদের স্বাস্থ্যবান রাখা এটাও কিন্তু অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করবে।
‘প্রধানমন্ত্রী সব ক্ষেত্রে প্রণোদনা দিয়েছেন কিন্তু কৃষির ক্ষেত্রটি বাদ রয়ে গেছে বলে আমাদের মনে হয়েছে। এই কৃষককে যদি আমরা এই মুহূর্তে প্রণোদনা দিতে না পারি এবং সামনে যে বোরো ফসল আসছে তার দাম সম্পর্কে যদি তারা নিশ্চিন্ত না হয়, বোরো ফসল কাটা ও সংরক্ষণের জন্যে তাদের যে পূঁজির প্রয়োজন তা যদি তারা না পায় সেক্ষেত্রে এই সংকট মোকাবিলা করতে তারা পারবে না। ’
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কার্যালয়ের সামনে খাদ্য বিতরণ কর্মসূচিতে ১০০ জন শ্রমজীবী মানুষকে ৫ কেজি চাল, ২ কেজি আলু, ১ কেজি মসুর ডাল, ১ কেজি পেঁয়াজ, আধা কেজি লবণ, আধা লিটার সয়াবিন তেল ও দু’টি সাবান সম্বলিত একটি করে ব্যাগ বিতরণ করা হয়। এছাড়াও আরো ৫০০ ব্যাগ বিতরণের জন্য ঢাকার বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়েছে বলে জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০২০
আরকেআর/এএ