ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

অহেতুক সমালোচনা না করে পরামর্শ দিন: তথ্যমন্ত্রী

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০২০
অহেতুক সমালোচনা না করে পরামর্শ দিন: তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা: সরকারের অহেতুক সমালোচনা না করে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় কোনো পরামর্শ থাকলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেছেন, অহেতুক সরকারের সমালোচনা না করে, সরকারকে পরামর্শ থাকলে দিন। সরকারের বিরুদ্ধে এ ধরনের কথা বলার সময় এটি নয়।

শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর মিন্টু রোডে সরকারি বাসভবনে সমসাময়িক বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজকের পরিস্থিতিতে দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে করোনা মোকাবিলা করা জাতির জন্য প্রয়োজন। বিএনপির যারা গতানুগতিক বক্তব্যের মাধ্যমে তাদের রাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছেন, তাদের অনুরোধ জানাব, নেতিবাচক রাজনীতি পরিহার করে আসুন আমরা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে এই বৈশ্বিক দুর্যোগ মোকাবিলা করি।

তিনি বলেন, রাজশাহীতে ছাত্রদলের একজন নেতাকে ফৌজদারি অপরাধে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ফৌজদারি অপরাধে কাউকে গ্রেফতার কী সরকার বন্ধ রাখবে? গত কয়েকদিনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ত্রাণের জন্য বিক্ষোভ, বিভিন্ন গণমাধ্যমে এটা আপনারা দেখতে পেয়েছেন। কিন্তু আজকেই গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে, সরকারের কাছে গোয়েন্দা তথ্য আছে। গোয়েন্দা তথ্যের বরাত দিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এই বিক্ষোভের অনেকগুলোর পেছনে রাজনৈতিক ইন্ধন ছিল। রাজনৈতিক ইন্ধন দিয়ে লোক ভাড়া করে এনে বিভিন্ন জায়গায় অরগানাইজ করে এ ধরনের বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়েছে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সরকার প্রতিটি দুস্থ মানুষের কাছে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য বদ্ধপরিকর। শুধু সরকারের ত্রাণ মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় নয়; সরকারের পক্ষ থেকে পুলিশ বাহিনী, জেলা প্রশাসন এবং সিটি করপোরেশনগুলো মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছে। এমনকি কেউ ফোন করলে তাকেও ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এমন ব্যবস্থা আশপাশের কোনো দেশে করা হয়েছে, আমি অন্তত জানি না।

তিনি বলেন, এই ব্যবস্থা করা হয়েছে, এরপরও প্রতিদিন বিএনপির পক্ষ থেকে সমালোচনা করা হয়। আর কয়েকটি ফটোসেশন করা হয়। ত্রাণের পণ্য নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় দুর্নীতির কথা চলে এসেছে। বাংলাদেশের ৭০ হাজারের বেশি স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি আছে। সেখানে কিছু লোক এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে। তবে একটি ঘটনাও আমাদের কাম্য নয়। প্রধানমন্ত্রী কঠোর হস্তে এসব দমন করার জন্য ইতোমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছেন।

যেখানে এ ধরনের অনিয়ম পাওয়া যাচ্ছে, সেখানেই সরকারের প্রশাসন কঠোর হস্তে এটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। এখানে কে কোন দলের, সেটি সরকার দেখছে না। ঘটনাগুলো উদঘাটন করছে প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনী। তাদের মাধ্যমে এই বিষয়গুলো জনসমক্ষে আসছে। অর্থাৎ সরকার এ ধরনের অনিয়মগুলো বন্ধ করার জন্য বদ্ধপরিকর।

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এখানে শুধু আওয়ামী লীগের গ্রাম পর্যায়ের কয়েকজন নেতার নাম এসেছে। তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে কয়েকজন চেয়ারম্যান-মেম্বারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তাদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। গত কয়েকদিনে যে ঘটনা ঘটেছে, এর সঙ্গে বিভিন্ন দলের সমর্থকরা যুক্ত। বিএনপির বেশ কয়েকজন এখানে আছেন। কে কোন দলের, সেটি না দেখে সরকার যে ঘটনা ঘটাচ্ছে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। আরও কঠোরভাবে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০২০
এসকে/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।