শনিবার (১৩ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মের উদ্যোগে জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ করোনা আক্রান্তদের রোগমুক্তি কামনা ও যারা মারা গেছেন তাদের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল ও করোনা উত্তরণে নাগরিক ভাবনা এবং আমাদের ভবিষ্যৎ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, করোনা কবে যাবে তা কেউ বলতে পারছেন না।
সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, সংসদ সদস্য যারা আছেন তাদের নিজ এলাকায় চিকিৎসা নেওয়ার নির্দেশ দিতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের নিজ নিজ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে হবে। এভাবে নিয়ম করলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি হবে।
তিনি বলেন, সংসদ সদস্য পাপুলসহ বড় বড় দুর্নীতিবাজদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে করোনা ফান্ড তৈরি করতে হবে।
সভায় এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেন, আমেরিকায় প্রতিবাদ করা যায়। কিন্তু দেশে অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে তার লাশ কোথায় পড়ে থাকবে তা কেউ জানে না। আজকে মানুষ এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ছুটছে ভর্তি হতে পারছে না। কেউ ভর্তি হতে পারলেও অক্সিজেন পাচ্ছেন না।
সভায় ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুরু বলেন, দেশে আজকে সমস্যা স্বাস্থ্য খাতের না, সব জায়গায়। তেলবাজ, চাটুকারদের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসানোর কারণে কোনো কাজ হচ্ছে না।
সভায় জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে আরও বক্তব্য দেন বিএনপি নেতা মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আব্দুল্লাহ আল নোমান, ঢাবির শিক্ষক আসিফ নজরুল।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদসহ বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০২০
এমএইচ/আরআইএস/